• বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী
    এই সময় | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, বাসন্তী: দু'জনের মধ্যে অনেক দিন ধরেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই অভিযোগে বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্যের সঙ্গে নিজের স্ত্রীর বিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। সেই বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী থানার ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবগঞ্জের বাসিন্দা দীপঙ্কর দাসের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা গোলাপি মজুমদারের। তাঁদের ১৬ বছরের এক পুত্র-সন্তান (বিশেষ ভাবে সক্ষম) রয়েছে। গোলাপি আইসিডিএসের সহায়িকা পদে কাজ করেন।

    দীপঙ্করের দাবি, বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রিপন হালদারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। মীমাংসার জন্য সালিশি সভাও ডাকা হয়েছিল।

    বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। মাস আটেক আগে গোলাপি ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে ক্যানিং থানা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। সেখানে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন রিপন। গত শুক্রবার দীপঙ্কর কোনও ভাবে জানতে পারেন, গোলাপির সঙ্গে দেখা করতে রিপন ক্যানিংয়ের ভাড়া বাড়িতে এসেছেন।

    এরপরই দীপঙ্কর পরিবারের লোকজন এবং কিছু স্থানীয় মানুষজনকে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান। দু'জনকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। মালাবদল ও সিঁদুরও পরানো হয়। তার ছবি তুলে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। মুহূর্তের মধ্যে সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। দীপঙ্কর জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী রিপনকে ভালবাসেন। তাই তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দু'জনের বিয়ে দিয়েছেন।

    রিপনের অবশ্য দাবি, তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁকে সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাঁকে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে। গোলাপিও একই অভিযোগ করেছেন। তিনি স্বামী, দেওর এবং কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)