প্রদ্যুত্ দাস: ধূপগুড়িতে মন্দিরের গ্রিল কেটে চুরি। মায়ের স্থান নামে ওই মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। কালীমূর্তি, রাধাগোবিন্দ মূর্তি, বজরংবলী মূর্তি, শিবমূর্তি সহ বেশ কিছু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। কালীমূর্তি এবং রাধাগোবিন্দ মূর্তি থেকে সোনা ও রুপোর গয়না এবং পুজোর সামগ্রী সহ নগদ চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মার্কেট মোড় এলাকার এ ঘটনায় চাঞ্চল্য। মন্দিরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
ধুপগুড়ি শহরের ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে অবস্থিত মায়ের স্থান মন্দিরে চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার গভীর রাতে দুঃসাহসিক কায়দায় মন্দির চত্বরে ঢুকে দেবদেবীর একাধিক মূল্যবান অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোররাতের দিকে গ্রিল কেটে বেশ কয়েকজনের একটি দল প্রথমে কালী মন্দিরে প্রবেশ করে। সেখানে মায়ের গলার একাধিক হার, মুকুট, নাকের নথ, হাতের চুড়ি সহ বিভিন্ন অলঙ্কার হাতিয়ে নেয় তারা। এরপর থানেরশ্বরী মন্দিরে ঢুকে গলার হার চুরি করা হয় এবং শেষে রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকেও মালা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি মন্দিরের দানবাক্স ভেঙে নগদ অর্থও লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সকালে নিয়মিত পুজোর সময় পুরোহিতরা মন্দিরে এসে চুরির বিষয়টি প্রথম নজরে আনেন। কালী মন্দিরের পুজোর দায়িত্বে থাকা পুরোহিত বিশ্বজিত ভট্টাচার্য জানান, মন্দিরে এসে দেখেন দেবীর একাধিক অলঙ্কার খোয়া গিয়েছে। তিনটি মন্দিরেই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান এবং বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন। থানেরশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত দীপক চক্রবর্তীও একই কথা জানান।
ঘটনার খবর ছড়াতেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমতে শুরু করে। পরে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। মন্দিরে আসেন মহকুমা পুলিস আধিকারিক গেইলসেন লেপচা, ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্দির কমিটির সদস্য গোপাল হার জানান, গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে একের পর এক মন্দিরে চুরি চালানো হয়েছে। পুলিস পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।