• মনরেগায় মুছল মহাত্মা, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইনে পরিণত ‘জি রাম জি’ বিল
    প্রতিদিন | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশের পর এবার ‘জি রাম জি’ বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু। যার জেরে মহাত্মা গান্ধীর নামাঙ্কিত মনরেগাকে ছুড়ে ফেলে আইনে পরিণত হল ‘জি রাম জি’। শুরু থেকেই এই  বিলের প্রতিবাদে মুখর ছিল বিরোধী শিবির। যদিও তাঁদের সে আপত্তি ধোপে টিকল না।

    কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জি রাম জি বিল লোকসভায় পাশের পর গত বুধবার রাজ্যসভাতে পেশ হয়। দীর্ঘ আলোচনায় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বিতর্ক থামেনি। শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে মোট ৯৮ জন এই বিল নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। বিতর্ক চলে মধ্যরাত পেরিয়ে। রাত ১টা ৩৫ মিনিটে অধিবেশন মূলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। বৃহস্পতিবার এই বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে উঠতেই বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধী শিবির। তবে সেসব উপেক্ষা করেই সংখ্যাধিক্যের জেরেই পাশ হয়ে যায় বিলটি।

    শিবরাজ বলেন, কংগ্রেস বাপুর আদর্শকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে মোদি সরকার সেই আদর্শকে বহাল রেখেছে। নয়া বিলে মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে শিবরাজ জানান, ‘এই প্রকল্পের নামে গান্ধীজি আগেও ছিলেন না। আইনটির নাম ছিল ‘ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট’। পরে ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে গান্ধীজির নাম এর সঙ্গে জোড়া হয়।’ বিলের প্রতিবাদে ব্যানার, পোস্টার হাতে সংসদ চত্বরে মিছিল করেন ইন্ডিয়া ব্লকের শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের তরফে সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা মিছিলে ছিলেন। তৃণমূলেরও একাধিক সাংসদ মিছিলে ছিলেন। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, বিলের নাম থেকে গান্ধীকে সরানো যাবে না। বিলটিকে পাঠাতে হবে সিলেক্ট কমিটিতে। কিন্তু তাতে আমল দেয়নি সরকার পক্ষ। অবশেষে দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর এবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে তা আইনে পরিণত হল।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের নাম বদলে লোকসভায় বিল পেশ করেন শিবরাজ চৌহান। মনরেগা বা MGNREGA (Mahatma Gandhi National Rural Employment Guarantee Act)-এর নাম পরিবর্তন করে বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ) বা VB-G RAM-G (সংক্ষেপে জি রাম জি) করার প্রস্তাব দেওয়া হয় ওই বিলে। প্রস্তাবিত বিলে ১০০ দিনের কাজের পরিমাণ ১০০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২৫ দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৯০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যগুলির উপর চাপ বাড়ছে। তাছাড়া আগে রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী, এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হত। এবার থেকে কেন্দ্র ঠিক করবে কোন রাজ্যে কত বরাদ্দ করা হবে। ফলে সাধারণ শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ পাবেনই, তেমন কোনও নিশ্চয়তা থাকছে না। আগে এই বিলে কাজের নিশ্চয়তা ছিল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)