অনুপ্রবেশে মদতদাতা কংগ্রেস, অসমে দাঁড়িয়ে দাবি প্রধানমন্ত্রীর
বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
গুয়াহাটি: বছর ঘুরলে অসমে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের অনুপ্রবেশকেই ইস্যু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এজন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। রবিবার অসমের ডিব্রুগড়ে ব্রাউনফিল্ড অ্যামোনিয়া-ইউরিয়া প্লান্টের শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন মোদি। সেখানেই হাত শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘অসমের মানুষের পরিচয় নিয়ে কংগ্রেস চিন্তিত নয়। তাই তো ওরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বেশি পছন্দ করে। কংগ্রেস ওদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তাই তো কংগ্রেস ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখনও অসমের জঙ্গল ও জমিতে বাংলাদেশিদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায় কংগ্রেস। ভোট ব্যাংক নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। আপনারা নষ্ট হয়ে যাবেন। কিন্তু তাতে ওদের কিছু যায় আসে না।’ শনিবারও গুয়াহাটিতে হাত শিবিরকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির অভিযোগ, স্বাধীনতার আগে অসমকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র কষেছিল কংগ্রেস। ব্রিটিশ ও মুসলিম লিগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টায় ছিল তারা। এবিষয়ে উত্তর দিতে দেরি করেনি কংগ্রেস। তাদের পালটা দাবি, মিথ্যের আশ্রয় নিয়েই বেঁচে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার এক্স হ্যান্ডলে কংগ্রেস সাংসদ মানিকম টেগরের বার্তা, ‘অসমকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার কোনও প্রস্তাবই ছিল না। অসম হিন্দু বহুল রাজ্য। তাই দেশভাগের পরিকল্পনায় যুক্ত করার প্রশ্নই ওঠেনি। শুধু সিলেট জেলা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কারণ সেটি মুসলিম বহুল।’ তিনি আরও লেখেন, ‘১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে সিলেটে গণভোট হয়। সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হওয়ার পক্ষে বেশি ভোট পড়ে। এটা কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত নয়। কংগ্রেস নেতা তথা স্বাধীনতা পরবর্তী অসমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈয়ের চেষ্টায় করিমগঞ্জ সাবডিভিশন ভারতে থেকে যায়। ইতিহাসে এই তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে। কংগ্রেস যে অসমকে পাকিস্তানের হাত তুলে দিতে চেয়েছিল তার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।’ কংগ্রেসে নেতা আরও বলেছেন, ব্রিটিশ শাসকদের তাড়াহুড়ো ও মুসলিম লিগের দাবির কারণে দেশভাগ হয়েছে। মোদি একটা ‘জটিল ও দুঃখজনক অতীত’কে ভোট প্রচারের হাতিয়ার করছেন বলেও মানিকমের অভিযোগ।