• ময়মনসিংহে যুবককে পুড়িয়ে হত্যায় অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে বার্তা দিল্লির, নিরাপত্তার কারণে চট্টগ্রামে ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল ভারত। ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে দিল্লি। বাংলাদেশের চলতি হিংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রামের ভিসা আবেদন কেন্দ্রও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওই কেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    বাংলাদেশের হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত কেন বিবৃতি জারি করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। রবিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। আমাদের আধিকারিকরা বাংলাদেশ সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগের কথা তাঁদের জানানো হয়েছে।’ ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দীপুচন্দ্র দাসের বর্বর হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।’

    ‘ভারত-বিরোধী’ বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর পরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা শুরু হয়। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ভারতীয় উপ-দূতাবাসেও হামলার চেষ্টা হয়। চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে পাথরও ছোড়া হয়। 

    মৌলবাদীদের এহেন তাণ্ডবের জেরে চট্টগ্রামে ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। আইভিএসির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই ফের ওই কেন্দ্র খোলা হবে। চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটেও ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র রয়েছে। বাকি চারটি কেন্দ্র আপাতত খোলা থাকবে বলে আইভিএসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে সেগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিলেটের ভারতীয় উপ-দূতাবাসের নিরাপত্তাও বৃদ্ধি হয়েছে। কয়েকদিন আগে ঢাকার ভিসা আবেদন কেন্দ্রটিও একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।

    এদিকে, শনিবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাই নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, তাদের দিল্লিতে নিযুক্ত হাইকমিশনারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগও খণ্ডন করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার জয়সওয়াল জানিয়েছেন, এই নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে হত্যার প্রতিবাদে ওইদিন ২০-২৫ জন বিক্ষোভকারী বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হন। তাঁরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার কোনও চেষ্টা হয়নি। পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। ঘটনার ভিডিয়ো প্রমাণও রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)