সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: টোটোস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে রবিবার ধূপগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। দুপুরে নেতাজি সুভাষ রোডের টোটোস্ট্যান্ডে টোটো দাঁড় করানো নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধ। দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থিত টোটোচালকদের মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে হস্তক্ষেপ করতে এসে নেতারাও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক টোটোচালক বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপরেই টোটোস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও অধিকার নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। রবিবার বিজেপি সমর্থিত টোটোচালকরা স্ট্যান্ডে এসে গাড়ি দাঁড় করাতে চাইলে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের। উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং বিজেপি সমর্থিত চালকরা রাস্তার ওপর বসে পড়েন। পথ অবরোধ শুরু হলে তৃণমূল সমর্থিত টোটোচালকদের বক্তব্য, টোটোস্ট্যান্ডের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। তাঁদের দাবি, আগে যে টোটোচালক সম্পাদক ছিলেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পুরনো নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম চালু করতে চাইছেন।
তৃণমূল সমর্থিত চালকদের সাফ কথা, পুরনো নিয়ম অনুযায়ী অন্য সংগঠনের কোনও টোটোকে স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছন বিজেপির টাউন মণ্ডলের সভাপতি পাপাই বসাক ও বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত। অভিযোগ, উত্তেজনার মধ্যেই কটূ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
শেষ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ ও বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ দু’পক্ষের টোটোচালকদের সরিয়ে দিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। তৃণমূল টোটো ইউনিয়নের সভাপতি আলম রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিজেপির লোকজন এসে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছিল। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কমলেশ সিংহ রায় বলেন, টোটো ভাইদের স্বাধীনতা রয়েছে যেকোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করার। কিন্তু তৃণমূল গুন্ডাগিরি করে আমাদের সংগঠনের টোটো রাস্তায় না নামানোর হুমকি দিয়েছে। এটা মানা যায় না।