• ঠান্ডায় কাঁপছে জেলাবাসী রাস্তা ও বাজারে ভিড় নেই
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সকালের দিকে কুয়াশার দাপটের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে জাকিয়ে শীত পড়েছে। গত কয়েকদিন ঠান্ডার আমেজ থাকলেও বেলা বাড়তেই বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে শনিবার বেলা বাড়লেও তাপমাত্রা তেমন বাড়েনি। উত্তর-পূর্ব হাওয়ার দাপটে শীতে জবুথবু নবাবের মুলুক। সদর শহর বহরমপুরের তাপমাত্রা এক দিনে নেমেছে অনেকটাই। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার আরও কিছুটা পাড়া পতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটাই চলতি মরশুমের এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। তবে এই শীত স্থায়ী হবে না বলেই দাবি করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের মতে, শীতের আমেজ থাকলেও কনকনে ঠান্ডার জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। কুয়াশা কমলে রবিবারের পর থেকে তাপমাত্রা একটু  করে বাড়তে পারে। 

    ঘন কুয়াশার কারণে এদিন সকালে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচলে বেশ সমস্যা হয়। ট্রেনও নির্ধারিত সময়ের কিছু দেরিতে চলছে। আগামী কয়েক দিন এরকম কুয়াশার দাপটে জেলাজুড়ে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাকচালক বরকত রফিক শেখ বলেন, জাতীয় সড়ক লাগোয়া যে সব জায়গায় ফাঁকা মাঠ রয়েছে সেখানে কুয়াশার দাপট খুব বেশি। এদিন সকালে সাগরদিঘি থেকে নবগ্রাম হয়ে বহরমপুর ঢুকতেই অতিরিক্ত এক ঘণ্টা সময় লাগল। 

    প্রাতঃভ্রমণকারী মিনতি মণ্ডলের কথায়, আমি খুব ভোরে উঠি। অন্যদিন সাধারণত ছ’টার মধ্যে প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেলি। কিন্তু এই  ঠান্ডায় সাতটার পর হাঁটতে বের হচ্ছি। বহরমপুরের টোটো চালক সাইফুল আলম বলেন, সকালের দিকে ট্রেনগুলিতে অন্য দিনের তুলনায় কম ভিড় হচ্ছে। যে কারণে আমরা স্টেশন থেকে যত সংখ্যক যাত্রী পাই এখন সেই সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। 

    শীতের দাপটে সকালে রাস্তায় লোকজন অনেক কম। বাজারেও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ভিড় হয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। হরিহরপাড়া হাটের সবজি বিক্রেতা লুৎফর শেখ বলেন, এতই ঠান্ডা পড়েছে যে, সাতটার আগে বাজারে ঢুকতে পারছি না। এদিকে পাইকারি মার্কেটে ভোরবেলায় সবজি না কিনলে দাম বাড়তে থাকে। এই ঠাণ্ডায় সকাল ন’টার আগে বাজারে একদম ভিড় হচ্ছে না।  বহরমপুরে আগুনে হাত সেঁকছেন যুবকরা। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)