সংবাদদাতা, কাটোয়া: এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। অনেকেই নথি জোগাড় না করতে পেরে মানসিক চাপে পড়ছেন। তাতে অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। কমিশন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রবিবার আউশগ্রামের গেড়াইতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিন গেড়াই মাঠে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ এসেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এসআইআরের পর খসড়া তালিকায় অনেকের নাম ওঠেনি। কোথাও তথ্যের ভুল রয়েছে। এর ফলে বহু মানুষ চরম মানসিক চাপে পড়েছে। এমনকি, কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। অনেকে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। আমরা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, কমিশন কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। সাংসদ বলেন, এসআইআর ইস্যুতে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আবারও বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরবে। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ২৬ সালের ভোটে আমরাই জিতব। অনেক বেশি ভোটে জিতব। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে আউশগ্রামের কল্যাণপুর গ্রামে এসআইআর আতঙ্কে এক ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তাঁর পরিবার দাবি করেন। এটা নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কমিশনের দিকেই আঙুল তুলছে। এদিন সাংসদ তাতে সিলমোহর দেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় যাওয়ার পথে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সাংসদ বলেন, বিরোধী দলের কর্মী হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। এটা সৌজন্যবোধ ও মানবিকতা। এমন মনোভাব সকলের মধ্যেই থাকা উচিত। আউশগ্রামের গেড়াইতে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। -নিজস্ব চিত্র