• মগরায় মুক্ত জিম তৈরির দাবিতে সিলমোহর, সরগরম নতুনগ্রাম
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: মানুষের দাবি মেনে সরকারি উদ্যোগে গড়া হবে উন্মুক্ত জিম। অর্থাৎ খোলা আকাশের নীচে শরীর চর্চার জায়গা। কোনও কেতাদুরস্ত শহর নয়, এই দাবি ছিল গ্রামীণ নাগরিকদের। হুগলির মগরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামে ওই পরিকল্পনা রূপায়ণে সরকারি সিলমোহর পড়েছে। এই কাজের প্রস্তাব উঠে এসেছিল ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’ প্রকল্পের মাধ্যমে। নতুনগ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালিত শিশুসাথী পার্কের ভিতরেই আম-নাগরিকের জন্য ওই মুক্ত-জিম তৈরি হবে। যা নিয়ে আশপাশের অঞ্চলে চর্চা শুরু হয়েছে। অভিনব দাবি এবং তার রূপায়ণ ঘিরে উত্তেজনা আছে পঞ্চায়েতের কর্তা-মহলেও। 

    পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কের ভিতরে কংক্রিট ও লোহার পরিকাঠামো তৈরি করে শরীরচর্চার একাধিক যন্ত্র বসানো হবে। সকাল থেকে পার্ক খোলা থাকবে। ফলে নাগরিকরা নিজেদের মতো করে শরীরচর্চা করতে পারবেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, প্রৌঢ়া থেকে তরুণী, সকলের প্রয়োজনের মতো করেই শরীরচর্চার সামগ্রী সেখানে রাখা থাকবে। এই পরিকল্পনা ঘিরে নাগরিকদের মধ্যে উৎসাহ এতটাই যে, প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে গ্রামবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। 

    মগরা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঘুনাথ ভৌমিক বলেন, ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’ প্রকল্পের জন্য স্থানীয় ২৭৪ নম্বর বুথে বৈঠক হয়েছিল। তখনই গ্রামবাসীরা উন্মুক্ত জিমখানা তৈরির দাবি তোলেন। নাগরিকদের দাবি শেষপর্যন্ত সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, সরকারি নজরদারির প্রয়োজন নেই। এলাকার মানুষই নজরদারি করবেন। আমরা প্রাথমিকভাবে শরীরচর্চার সাতটি উপকরণ ওই জিমে রাখব। এই প্রকল্পের জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কৌশিক ঘোষ। তাঁর প্রস্তাবে সরকার সবুজ সংকেত দেওয়ায় খুশি ওই চিকিৎসক। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ শরীর চর্চার জন্য জায়গা পান না। ফলে রোগব্যাধিকে ডেকে আনছে। নাগরিকদের বড় অংশের মতামত নিয়েই আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শেষপর্যন্ত এই প্রস্তাবে সরকার সিলমোহর দেবে, তা অবশ্য ভাবিনি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুসাথী পার্ক নতুনগ্রামে একটি জনপ্রিয় জায়গা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে কচিকাঁচা থেকে প্রবীণদের ভিড় লেগে থাকে। সাজানো গোছানো সবুজকে ঘিরে মানুষের অনাবিল উৎসাহের স্থানকেই তাই মুক্ত জিমের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই পার্কে নানা বয়সি মানুষ প্রাতর্ভ্রমণে আসেন। মুক্ত জিম প্রকল্পে সরকার টাকা দিতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। আর নতুনগ্রামের বেনজির প্রকল্পকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই আশপাশের দশ গাঁয়ে সাড়া পড়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)