• জেলা সভাপতির গাড়িতে তালা ঝোলালেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা, বেআব্রু গেরুয়া কোন্দল
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: এসআইআর পর্বে এমনিতেই বিড়ম্বনায় বিজেপি। নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়াদের প্রশ্নের জবাব দিতে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে তাদের। এই আবর্তে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেআব্রু হয়ে পড়ল ‘মতুয়াগড়’ বনগাঁয়। বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গাইঘাটা বিধানসভার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি এলাকায়। পরে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয়। ঘটনায় শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুরের মধ্যে কিছুটা বচসা হয় বলেও খবর। দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরাও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক সুব্রতবাবু। 

    জানা গিয়েছে, রবিবার দলীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে আসেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ। সেই সময় সুব্রত ঘনিষ্ঠ বিজেপি কর্মীরা জেলা সভাপতির কাছে গাইঘাটা মণ্ডল ১ সভাপতির নাম কবে ঘোষণা হবে, জানতে চান। অভিযোগ, জেলা সভাপতি কর্মীদের কথার উত্তর না দিয়ে চলে যান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কর্মীরা। পরবর্তীতে জেলা সভাপতি গাড়িতে উঠতে গিয়ে দেখতে পান, গাড়ির সামনের চাকায় শিকল দিয়ে তালা ঝোলানো রয়েছে। শান্তনু ঠাকুরকে বিষয়টি জানালে তাঁর উদ্যোগে তালা খোলা হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অস্বস্তিতে পড়ে পদ্ম শিবির। বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, ‘প্রায় চার মাস ধরে গাইঘাটা মণ্ডল-১ সভাপতি নেই। বারবার বলা সত্ত্বেও জেলা সভাপতি গুরুত্ব দেননি। দলের ক্ষতি হচ্ছে। আজ কর্মীরা তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলেন। উত্তর না পেয়ে কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ির চাকায় তালা দিয়েছে।’ যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠ জেলা সভাপতি বিকাশ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা বলার সাংসদ বলবেন।’ শান্তনুবাবু বলেন, ‘জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় তালা দেওয়ার ঘটনা নিন্দনীয়। মণ্ডল সভাপতি কে হবেন, সেটা সংগঠন দেখবে। আলোচনায় বসা যেত। তালা দেওয়ার ঘটনা কখনওই কাঙ্খিত নয়।’ 

    সুযোগ বুঝে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। ওরা যে উশৃঙ্খল দল, তা আবার প্রমাণ হল। মণ্ডল সভাপতি করা নিয়ে আর্থিক লেনদেন, এ সংক্রান্ত বিবাদেই জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা। তবে এ তো সবে ট্রেলার, আগামীতে আরও হবে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)