অবৈধ পার্কিং বন্ধ ও পরিস্রুত পানীয় জলের দাবি বাসিন্দাদের
বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এলাকার ৭০ শতাংশের বেশি অংশে পরিস্রুত পানীয় জল মেলে না। ভূগর্ভস্থ জলের উপরই নির্ভরশীল নাগরিকরা। তাই চাই পরিস্রুত পানীয় জল। ভরা সভায় হালতু, কায়স্থপাড়া, মন্দিরপাড়া (অভিষিক্তা), পূর্বাচল এলাকার বাসিন্দাদের সেই দাবি শুনলেন কাউন্সিলার, বিধায়ক। শনিবার সন্ধ্যায় জনপ্রতিনিধিদের বিগত ৪ বছরের কাজকর্মের খতিয়ান এবং আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন হয়েছিল ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল শক্তি সঙ্ঘ সাংস্কৃতিক মঞ্চে। সেখানেই পানীয় জলের দাবি ওঠে একাধিকবার। কাউন্সিলার অরিজিৎ দাস ঠাকুর বলেছেন, ‘সমস্যা তো অবশ্যই রয়েছে। তবে বাসিন্দাদের বলেছি, বছর খানেকের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।’ এর পাশাপাশি, উত্তর পূর্বাচল তারকের ব্রিজ, খালপাড় এবং কালীতলার কয়েকটি রাস্তায় বেআইনি পার্কিং নিয়ে অভিযোগ জানান সাধারণ মানুষ। এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবিও ওঠে। সমস্যাগুলি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কাউন্সিলার।
কাউন্সিলার হিসেবে চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘কর্মসূচির চতুর্থ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন অরিজিৎবাবু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, সাংসদ সায়নী ঘোষ। একটি লিফলেটে গত চার বছরে নিকাশি, রাস্তা, আলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়। এলাকাবাসী তাঁদের মতামত জানান। পুর-স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন, জঞ্জাল অপসারণ সহ অন্যান্য কাজের প্রশংসা করলেও নাগরিকরা বারবার সোচ্চার হয়েছেন পানীয় জল এবং বেআইনি পার্কিং নিয়ে। মূলত অভিষিক্তা, নেতাজি কলোনি, পূর্বাচল, কায়স্থপাড়া, রামলাল বাজার, সুকান্ত সরণি, বিধান রোড, লালবাহাদুর শাস্ত্রী রোড, কালীতলা রোড সহ ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানে ওয়ার্ডের কাজি নজরুল পার্কে দ্রুত বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। পাশাপাশি, অভিষিক্তায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজও জানুয়ারি মাসে শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলার।
ই এম বাইপাসে দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের রামলাল বাজার সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সর্বত্র পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ হয় না। অনেক জায়গাতেই গভীর নলকূপের মাধ্যমে জল তুলে সেই জলই বাড়ি বাড়ি সরবরাহ হয়। অরিজিৎবাবুর কথায়, ‘ইতিমধ্যে কায়স্থপাড়ায় একটি ছোটো বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বানানো হয়েছে। আরও কাজ চলছে। ঢালাই ব্রিজে নতুন জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। সেটি শেষ হলে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে।’
উত্তর পূর্বাচল কালীতলা, দক্ষিণায়ন সোসাইটি, খালপাড় রোডে বেআইনি পার্কিং থেকে শুরু করে সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। অন্যদিকে, কালিকাপুর হসপিটাল রোডের যে হাসপাতালটি সংস্কার করা হয়েছে, সেখানে কিছু শয্যার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেই প্রস্তাব এসেছে। অরিজিৎবাবু বলেন, ‘গ্রিন পার্ক অঞ্চলে নিজের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি। এর বাইরে পুলিশের তরফে তারকের ব্রিজ, মোহনের ব্রিজ, অভিষক্তা মোড়, সাঁপুইপাড়া মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আগামী দিনে ওয়ার্ডের সর্বত্র সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’