• রাজ্যে ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় এজেন্টদের নিয়োগ বন্ধ ৩ বছর, ফের চালুর আর্জি
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশজুড়ে আম জনতার ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের অবস্থা যে ভালো নয়, তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে সরকারি পরিসংখ্যানেই। এই সঞ্চয়ের একটা বড় অংশ দখল করে রাখে ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প। সেই তালিকায় আছে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, রেকারিং ডিপোজিট, মান্থলি ইনকাম স্কিম বা কিষাণ বিকাশপত্রের মতো বিভিন্ন স্কিম। এই প্রকল্পগুলি মূলত ডাকঘর এজেন্ট নির্ভর। তাঁরাই সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দেন এবং তাঁদের সঞ্চয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু বর্তমানে ডাকঘরের এজেন্ট নিয়োগ বন্ধ আছে। সঞ্চয় প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের হলেও তার এজেন্ট নিয়োগের দায়িত্ব রাজ্য অর্থদপ্তরের। তাই সঞ্চয় বাড়াতে রাজ্য সরকার যাতে এজেন্ট নিয়োগ করে, তার জন্য এবার রাজ্যের কাছে আর্জি জানালেন এজেন্টরাই।

    ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, ‘আমরা জানি, রাজ্য সরকার ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে এজেন্সি নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। এ রাজ্যে প্রায় ২৫ হাজার ব্যক্তির এজেন্সি রয়েছে। তাঁদের একটা অংশ তিন বছরে মারা গিয়েছেন অথবা এজেন্সি জমা বা সারেন্ডার করেছেন। প্রতিটি জেলায় স্বল্প সঞ্চয় দপ্তরের হাজার হাজার আবেদন জমা রয়েছে নতুন এজেন্সি নেওয়ার জন্য। কারণ, বহু বেকার যুবক যুবতী চান, এজেন্সির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে। রাজ্য সরকার যদি তাঁদের এজেন্সি দেওয়া চালু করে, তাহলে স্বল্প সঞ্চয়ে আরও সমৃদ্ধি সম্ভব।’ নির্মলবাবু জানান, তাঁরা রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং অর্থদপ্তরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রভাতকুমার মিশ্রর কাছে নতুন এজেন্সি নিয়োগের আবেদন রেখেছেন। এই নিয়োগে রাজ্য সরকারের উপর কোনও আর্থিক দায় চাপবে না। কারণ, এজেন্সির কমিশন বাবদ খরচ মেটায় কেন্দ্রীয় সরকার।
    সংগঠনের বক্তব্য, কমিশনের পাশাপাশি একসময় এজেন্টদের দেওয়া হতো নগদ ‘জলপানি’ বা ‘ক্যাশ রিওয়ার্ড’। স্বল্প সঞ্চয়ে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দিতে আগে কমিশনের উপর ২০ শতাংশ বাড়তি নগদ প্রাপ্তি হতো। তা পরে কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে তাও বন্ধ করা হয়েছে। সংগঠনের কর্তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কয়েক বছর আগে বলেছিল, কমিশন বৃদ্ধি ও রিওয়ার্ডের বিষয়টি ‘রিভিউ’ করা হবে। কিন্তু কোথায় সেই রিপোর্ট? আদৌ ‘রিভিউ’ হয়েছে কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই। কেন্দ্রের কাছেও এ বিষয়ে জানতে চাইবেন সংগঠনের কর্তারা। সেই নিয়ম ফেরানোর আর্জি জানাবেন তাঁরা।
  • Link to this news (বর্তমান)