• হস্টেল থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, নেপথ্য কারণ মোটা ফি-র বোঝা নাকি পড়াশোনার চাপ?
    এই সময় | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ছত্তিসগড়ের রায়গড় জেলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। তাঁর নাম প্রিন্সি কুমারী (২০)। তিনি ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বাসিন্দা। রায়গড়ে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী থাকতেন কলেজ সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। শনিবার রাতে হস্টেলে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। রবিবার ময়নাতদন্তের পরে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর কামরা থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘মা-বাবা তোমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় আমি দুঃখিত।’ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পড়াশোনার চাপের জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে ছাত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

    প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বর্ষের পাশাপাশি প্রথম বর্ষে ‘ব্যাকলগ’ থাকায় সেই পরীক্ষাগুলিও দিতে হচ্ছিল ছাত্রীকে। আর সেই জন্য তিনি মানসিক ভাবে চাপে ছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে আটটার পরে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। খারাপ কিছু ঘটতে পারে, এই আশঙ্কা করে প্রিন্সির বাড়ির সদস্যরা হস্টেলের ওয়ার্ডেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওয়ার্ডেন প্রিন্সির রুমের দরজায় গিয়ে দেখেন, তা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেকবার ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখা যায়, ঘরের ভিতরে ঝুলছে ওই পড়ুয়ার দেহ। এর পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্তকারীরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন।

    পুলিশ জানায়, সম্প্রতি সেমেস্টার ফি বাবদ প্রায় এক লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছে আবেদন করেন প্রিন্সি। পুলিশের অনুমান, প্রথম সেমেস্টারের খারাপ ফলাফল এবং তার উপরে বিপুল টাকা ফি দিতে হওয়ায় অপরাধবোধ কাজ করছিল প্রিন্সির মধ্যে। পুলিশ জানাচ্ছে, গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।

  • Link to this news (এই সময়)