• একই রাস্তা দুই প্রকল্পে, দুর্নীতির অভিযোগ টেন্ডারে
    এই সময় | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, আরামবাগ: পাড়া প্রকল্পে কাজ শেষ হয়ে গেলেও, একই রাস্তার নতুন করে ফের শিলান্যাস ও টেন্ডার হলো পথশ্রী প্রকল্পে। এতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধী দলের পাশাপাশি খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য–সহ শাসক দলের কর্মীরাও। খানাকুলের কামদেবপুর থেকে সিপাইপাড়া ৪০০ মিটার রাস্তা ঘিরে এমনই বিতর্কে শোরগোল পড়েছে।

    দীর্ঘদিনের দাবি মেনে, পাড়ায় সমাধানে সম্পূর্ণ হয়েছে রাস্তার কাজ। আবার একই রাস্তা পথশ্রী-রাস্তাশ্রী-৪ প্রকল্পে ভার্চুয়াল শিলান্যাস করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ব্লক অফিসের গেটে রাস্তার নাম দিয়ে পড়েছে একাধিক বড় হোর্ডিংও। এমনকী, সেই রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। এমনই নজিরবিহীন অভিযোগ উঠল খানাকুল-১ ব্লকের ধরমপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, বিজেপি পরিচালিত খানাকুল-২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কামদেবপুর মসজিদতলা থেকে সিপাইপাড়া ৪০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বেহাল ছিল।

    কয়েকমাস আগে পাড়ায় সমাধানে রাস্তা সংস্কারের আবেদন জমা পড়ে। তিনদিন আগেই রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। তবে কাজের খতিয়ান সংক্রান্ত বোর্ড সেখানে নেই। অথচ, একই রাস্তার পথশ্রী প্রকল্পে শিলান্যাসের পরে টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। টাকা আত্মসাতের জন্যই এই কাজ বলে অভিযোগ। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন শাসক দলের একাংশ। ঘটনায় তৃণমূলকে দুর্নীতিবাজ বলে আক্রমণ করেছেন স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান সরস্বতী দাস।

    যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া, রাস্তার কাজ শেষের পরে কেন খতিয়ানের বোর্ড লাগানো হয়নি, তা–ও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন খানাকুল-১ বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক তরজা করতে ছাড়েনি কোনও দলই।

    এলাকার তৃণমূলের যুবনেতা তথা খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের যুব কার্যকরী সভাপতি মাসেদুল আলম মল্লিক বলেন, ‘একই রাস্তার কাজে কী করে দু’বার টেন্ডার হয়! ব্লকে কারা কাজ করেন? তাঁরা আমাদের কিছুই জানান না। আমাদের এলাকার কাজ পাড়া প্রকল্পে হয়ে গেল। আবার পথশ্রী প্রকল্পে কী করে টেন্ডার হয়? ব্লক থেকে কাটমানি খাওয়া হচ্ছে। ধরে নিতে হবে, বিডিও এতে জড়িত আছেন। এর তদন্ত চাই। দলের মধ্যে উন্নয়ন হবে, আর তাতে কিছু মাতব্বর দাদাগিরি করে দলের বদনাম করবে, তা হতে দেবো না। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের জোয়ার আনবেন, আর সেখানে কিছু অসৎ ব্যক্তির জন্য বদনাম হবে, তা মানব না।’

    বিজেপির নেত্রী তথা খানাকুল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সরস্বতী দাস বলেন, ‘কী হয়েছে, আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন।ব্লক আধিকারিকরা কী করছেন? অন্যায় হচ্ছে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও করেছেন। পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে, নিজেরাই বুঝুন।’

  • Link to this news (এই সময়)