'ভবানীপুর আগে ছিল আলিপুর...' SIR-এ নাম বাদ নিয়ে ঠিক কী ব্যাখ্যা মমতার? কমিশনকে তুলোধনা করলেন
আজ তক | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
সম্প্রতি বাংলায় SIR খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ড্রাফট তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৫৯ লক্ষ ভোটারের নাম। এই অবস্থায় খসড়া তালিকা ও পরবর্তী শুনানি নিয়ে বিশেষ তৎপর হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও ভোটারের নাম যাতে বাদ না পড়ে, তার জন্য নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে একাধিক বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী জানান, "কলকাতা জেলা আগে অন্যরকম ছিল। আগে ১০০টা ওয়ার্ড ছিল। এখন ১৪৪টা ওয়ার্ড। কারণ তখন ডিলিমিটেশন হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এগুলো একবারও ভাবেনি। BLO-দের ঠিক মতো ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। কমিশন পুরোপুরি বিজেপির কথামতো কাজ করছে।"
মমতার দাবি, "ডিলিমিটেশন হওয়ার ফলে একজন ভোটার অন্য বিধানসভায় চলে গিয়েছে। যেমন ভবানীপুরেও পরিবর্তন হয়েছে। ভবানীপুর আগে আলিপুরে ছিল। এখন ভবানীপুর হয়েছে। গোটা রাজ্যেই এমন ভাবে নতুন বিধানসভা হয়েছে। এরফলে অনেক ভোটারের ঠিকানায় বদল এসেছে। কারোর ওয়ার্ড নম্বর বদলে গিয়েছে। ফলে গোটা ম্যাপিংটাই ভুল হচ্ছে।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ,'অনেক নাম ভুল ভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যে মহিলাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাঁদের নামের পদবী পরিবর্তন হয়েছে। সেই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কারোর নামের বানানে ভুল থাকলে সেই নামগুলি বাদ দেওয়া হচ্ছে।' কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, এগুলি মেনে নেওয়া হবে না। এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নাম বাতিলের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, খসড়া তালিকায় দেখা গিয়েছে খোদ ভবানীপুর থেকে বাদ গিয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটারের নাম। ভবানীপুর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা হওয়ায় গোটা বিষয়টি নিয়ে সাড়া পড়েছে শাসকদলের অন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, "দলের নেতৃত্বের তরফে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ হওয়া উচিত নয়। প্রতিটি বাদ পড়া ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি দেখা উচিত।"
ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে কলকাতা পুর কর্পোরেশনের ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭, ৮২ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে। তবে ৭০, ৭২ ও ৭৭ নম্বর এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে। জানা গিয়েছে,এরমধ্যে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এই তিনটি ওয়ার্ডেই স্ক্রুটিনির ক্ষেত্রে বেশি জোর দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।