• ছাব্বিশের ভোটের আগেই খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর ঘরে 'বড় ভাঙন'! জেলায় বেশ বড়সড় শক্তিবৃদ্ধি মিমের...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রণজয় সিংহ: মালদায় শক্তি বৃদ্ধি করছে মিম। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের গড়েই ভাঙন ধরাল মিম। কয়েকশ তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা মিমের পতাকা ধরলেন। যদিও এই রাজ্যে মিমের রাজনৈতিক উত্থান ঘিরে বিচলিত নয় তৃণমূল ও কংগ্রেস। মিমকে কার্যত বিজেপির দালাল বলে আক্রমন তৃণমূলের। তবে এই যোগদান ঘিরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদার রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। 

    রবিবার, মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালিয়াচক ১ নম্বর নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুদুয়া গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে মিমের দলে যোগদান করেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন মিমের মালদা জেলার সভাপতি রেজাউল করিম। এর আগেও এই বিধানসভা কেন্দ্রের অচিনতলা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে কয়েকশো কর্মী সমর্থক মিমে যোগদান করেছিল। এদিকে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরীর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েও এই মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। 

    মিমের জেলা সভাপতি দাবি করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এর আগে অন্য দলকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু সেই দলগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কিছু করেনি। সেই কারণেই মানুষ দলে দলে মিমে যোগদান করছে। জেলার আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা প্রার্থী দেব। বিভিন্ন জায়গায় কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতি মনোনীত করা হচ্ছে। 

    তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন কবীরের দল বা আইএসএফের সঙ্গে জোট হতে পারে। সেটা রাজ্য নেতৃত্ব জানে। যদিও মিম দলের এমন উথানকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সির দাবি করেন, বিজেপির দালাল এই দলটি। ওদিকে মালদা দক্ষিণ বিজেপির মুখপাত্র অম্লান ভাদুড়ির পালটা বলেন, ভোট রাজনীতিতে অন্য কারোর দরকার নেই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)