বড়দিন ও নিউ ইয়ারে বড় খবর, বৃহস্পতিবারও খোলা থাকবে ডুয়ার্সের জঙ্গল সাফারি
আজ তক | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Dooars Jungle Safari: উত্তরবঙ্গের জঙ্গল সাফারিতে সাধারণত সপ্তাহে ছ’দিন প্রবেশের অনুমতি থাকে। বৃহস্পতিবার সাফারি বন্ধ রাখাই দীর্ঘদিনের নিয়ম। কিন্তু চলতি বছরে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ দু’টিই পড়েছে বৃহস্পতিবারে, যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার একটি নোটিশ জারি করে বন দফতর জানাল, পর্যটনের স্বার্থে ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি জঙ্গল খোলা রাখা হবে। ফলে বড়দিন ও নববর্ষে গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার খোলা থাকবে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলদাপাড়ার চিলাপাতা, মাদারিহাট, শালকুমার এবং কোদালবস্তি গেট থেকে জিপসি ও হাতি সাফারি অন্য দিনের মতোই চালু থাকবে। এতে পর্যটকদের ভিড় সামলানো সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ বড়দিনে সাফারি চালু রাখার কথা জানালেও, ১ জানুয়ারি সাফারি চালু থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। বছরের শেষ লগ্নে উত্তরবঙ্গে শীত পুরোপুরি জাঁকিয়ে বসেছে। পৌষ শুরু হতেই গরুমারা ও জলদাপাড়ার জঙ্গলে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। তবে পাহাড়ি এলাকার তুলনায় আলিপুরদুয়ারের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে এখনও তুলনামূলক ভিড় কম।
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে ডুয়ার্সে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দুই বিশেষ দিনই বৃহস্পতিবার হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এই নিয়ে বন দপ্তরের সঙ্গে মৌখিকভাবে আলোচনাও করেছিলেন লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ পর্যটনের কথা মাথায় রেখে জঙ্গল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডিএফডি (পূর্ব) দেবাশিস শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বছরের শেষ সময়ে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার হলেও সাফারি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ জানুয়ারি নিয়েও খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
এদিকে, বক্সার পর্যটন ব্যবসায়ীরা দুই দিনই সাফারি চালু রাখার দাবি তুলেছেন। তাঁদের মতে, সাফারি বন্ধ থাকলে ওই সময়ে পর্যটকরা বক্সায় আসতে আগ্রহী হবেন না। জিপসি মালিক অমন মাহাতো বলেন, জঙ্গল সাফারি ডুয়ার্স পর্যটনের মূল আকর্ষণ। চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বিমল রাভার কথায়, বড়দিন ও নববর্ষে সাফারি বন্ধ থাকার আশঙ্কায় যে দুশ্চিন্তা ছিল, বন দফতরের সিদ্ধান্তে সেই চিন্তা অনেকটাই কেটেছে।