• আরাবল্লি রায়: পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতি, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: আরাবল্লি পর্বত নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তকে চিঠি লিখলেন আইনজীবী তথা পরিবেশকর্মী হিতেন্দ্র গান্ধী। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতিকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে হিতেন্দ্র জানিয়েছেন, যদি শুধুমাত্র উচ্চতার উপর ভিত্তি করে আরাবল্লি এলাকায় খননকাজ চালানো হয়, তাহলে পুরো উত্তর-পশ্চিম ভারতের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থাই দুর্বল হয়ে পড়বে। গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে জানিয়েছিল, ১০০ মিটারের বেশি উচ্চতা হলেই উত্তর-পশ্চিম ভারতের কোনও পাহাড়কে আরাবল্লি পর্বতশ্রেণির অংশ বলা যাবে। তবে এই উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নয়, আশপাশের এলাকা থেকে মাপা হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে এতদিন আরাবল্লি বলতে যে সব পাহাড়কে বোঝানো হত, তার বেশিরভাগই আর পাহাড় বলে গণ্য হবে না। ফলে সেখানে চাইলেই খনন সহ অন্যান্য কাজ করা যাবে।

    প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে হিতেন্দ্র জানিয়েছেন, আরাবল্লি পাহাড়কে চিহ্নিত করার জন্য যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্তু যেভাবে স্থানীয় ভূপৃষ্ঠ থেকে পাহাড়ের উচ্চতা মাপা হচ্ছে, তা এই এলাকার জন্য সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে আরাবল্লি ভারতের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দিল্লি ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের পরিবেশের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতেও এই পাহাড় সাহায্য করে। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে ভবিষ্যতে ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে বলেও দাবি করেছেন হিতেন্দ্র। তাঁর মতে, সুযোগ নিয়ে ওই এলাকার জমির অপব্যবহার, খনি খোঁড়া হবে। যার পরিণাম অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

    যদিও আদালতের রায় নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নিয়ে বলে সোমবারও আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এদিন তিনি জানিয়েছেন, নতুন নির্দেশিকার ফলে আরাবল্লিকে রক্ষা করা আরও সহজ হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘আরাবল্লির মাত্র ০.১৯ শতাংশ এলাকাই খনিজ উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া সেখানে নতুন খনিও খোঁড়া যাবে না। আরাবল্লির মূল সমস্যা বেআইনি খনন। সেই খনন বন্ধ করতেই সুপ্রিম কোর্ট আরাবল্লির নতুন সংজ্ঞা বেঁধে দিয়েছে।’ আরাবল্লির ৯০ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
  • Link to this news (বর্তমান)