নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এবারও সাগর মেলার প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। পাঁচ জানুয়ারি পৌঁছবেন সাগরে। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন। এবার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে নিজে যাচ্ছেন। পরিদর্শন শেষে ৬ জানুয়ারি তাঁর কলকাতায় ফিরে আসার পরিকল্পনা।
জানা গিয়েছে, ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। এই কাজের পর মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল চলাচলের চ্যানেলে অর্থাৎ রুটে পলি জমছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখছেন সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। রবিবার ভাটার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা এলসিটিতে নদী পারাপার করে ড্রেজিংয়ের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কোনও সমস্যা হয়নি বলে প্রশাসনের দাবি। সোমবার সেচমন্ত্রী ড্রেজিংয়ের কাজ দেখতে যান। মূলত গঙ্গাসাগর মেলার সময় যাতে মুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসেল চলাচলে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। এদিন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া লট নম্বর আটে পৌঁছন। এরপর লঞ্চে মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ দেখেন। সঙ্গে ছিলেন সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁরা ম্যাপের মাধ্যমে ভেসেল চলাচলের রুট মন্ত্রীকে দেখান। এছাড়াও ভাটার সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে গাড়ি পারাপারের এলসিটি চলাচল করবে কি না সেই বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়। ড্রেজিংয়ের কাজ দেখার পর মানসবাবু কচুবেড়িয়ার অস্থায়ী জেটি ঘাট, গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতের স্নানের ঘাট এবং বেনুবনে ড্রেজিংয়ের কাজ দেখতে যান। তিনি বলেন, ‘আশা করা যায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিং ও অস্থায়ী জেটিঘাট তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। এবছর কুম্ভমেলা নেই। তাই গঙ্গাসাগর মেলায় বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী আসার সম্ভাবনা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব দপ্তর সতর্কভাবে কাজ করছে।’