• পিডব্লুডির নথি জাল করে ৫২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, ধৃত ঠিকাদার
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পিডব্লুডি অফিস থেকে নথি জাল করে এক ঠিকাদারের প্রাপ্য টাকা তুলে নিয়েছেন অন্য ঠিকাদাররা। সরকারি কোষাগার থেকে অভিযুক্ত বাপ্পা দে সহ আরও পাঁচ ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টে ৫২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে বলে অভিযোগ। পিডব্লুডির অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিকাদার বাপ্পা দে’কে  রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানা।

    যাদবপুর এলাকায় পিডব্লুডির বিভিন্ন কাজকর্ম করেন স্থানীয় এক ঠিকাদার। তিনি কাজের পর ৫২ লক্ষ টাকা বিল পাঠান। কাজের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর এই বিল অনুমোদন করে সরকার। তাঁর নামে টাকা ছাড়ার কপিও রেডি হয়ে যায়। অভিযুক্ত বাপ্পা সহ আরও পাঁচ ঠিকাদার বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরাও পিডব্লুডির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদার। সম্প্রতি তাঁরা কাজ পাচ্ছিলেন না। যে কারণে ওই ঠিকাদারের উপর ক্ষোভ ছিল তাঁদের। তাঁদের ধারণা হয়, ওই ঠিকাদারই তাঁদের টেন্ডার আটকে দিচ্ছেন। তাঁর কেরামতিতেই বাকিরা ঠিকাদাররা বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না। তাঁর ৫২ লক্ষ টাকা অনমোদন হওয়ার খবর অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছলে যাদবপুর এলাকার পিডব্লুডি অফিসে হাজির হন বাপ্পা সহ ছ’জন। তাঁরা বিলিং সেকশনের এক কর্মীকে টোপ দেন, ওই ঠিকাদারের নাম কেটে তাঁদের নাম ঢোকালে টাকার ভাগ মিলবে। অভিযোগ, টাকার লোভে ওই কর্মী আসল প্রাপকের নাম বাদ দিয়ে বাপ্পা সহ মোট ছ’জনের নাম লেখেন। সরকারি কোষাগার থেকে ছ’টি অ্যাকাউন্টে ৫২ লক্ষ টাকা জমা পড়ে বলে।

    আসল প্রাপক টাকা না পেয়ে পিডব্লুডিতে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, অফিস থেকে নথি জালিয়াতি করা হয়েছে। এরপর পিডব্লুডির তরফে অভিযোগ করা হয় যাদবপুর থানায়।  তদন্তে দেখা যায়, বাপ্পা সহ ছ’জনের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের পর রবিবার বাপ্পাকে গ্রেফতার করা হয় যাদবপুর এলাকা থেকে। বাকিরা পলাতক। সোমবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সওয়াল শেষে বাপ্পাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত।
  • Link to this news (বর্তমান)