• জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ট্রেনের শৌচাগারের পাশে বসেই যাত্রা কুস্তিগিরদের!
    এই সময় | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিল ওডিশার ১৮ জন পড়ুয়া। তবে তাদের যাত্রা করতে হয়েছে সাধারণ কামরায়। তাও আবার শৌচাগারের পাশে বসে। এমন কী প্রতিযোগিতা শেষে একই ভাবে ফিরতে হয় তাদের। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি ওডিশা সরকারের তরফে।

    উত্তরপ্রদেশে বসেছিল অনূর্দ্ধ ১৭ বালক-বালিকাদের ৬৯ তম জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতা। তাতেই অংশ নিয়েছিল ওডিশার ১৮ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন ছেলে এবং ৮ জন মেয়ে। জানা গিয়েছে, তাদের যাতায়াত-সহ সব ব্যবস্থা করার কথা ছিল অডিশা রাজ্যের স্কুল এবং গণ শিক্ষা দপ্তরের। কিন্তু এই খেলোয়াড়দের জন্য ট্রেনের টিকিটই নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। ফলে প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যে, সাধারণ কামরায় কোনও মতে উত্তরপ্রদেশ যেতে হয় তাদের। ওই কুস্তিগিরদের ফিরতেও হয়েছে একই ভাবে।

    সোমবার তাদের শৌচালয়ের পাশে বসে ওই রকম ভাবে সফর করার ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। তার পরেই ওডিশা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

    কেন জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া ওই ছেলে-মেয়েদের এই ভাবে ভ্রমণ করতে হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই জন্য কারা দায়ী তা জানার জন্য তদন্ত দাবি করা হয়েছে তাঁদের তরফে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

    এক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুল এবং গণ শিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পরেই তাঁরা ওই পড়ুয়াদের নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। চার জন শিক্ষক নিয়ে গিয়েছিলেন চারটি দলকে। কিন্তু দলের ম্যানেজার কটকের ভানু রানা টিকিট ‘কনফার্মড’ করাননি বলে অভিযোগ তাঁর। এই কারণে শৌচাগারের পাশে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে সফর করতে হয়েছে তাঁদের। এক জন মন্ত্রীকে এই নিয়ে জানালেও তিনিও কোনও ব্যবস্থা করেননি বলেও দাবি করেন ওই শিক্ষক।

    বিশ্বজিৎ মহাপাত্র নামে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, টিকিটের ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানতেন না। স্টেশনে ছাড়তে আসার পর জানতে তাঁরা জানতে পারেন কারও কনফার্মড টিকিট নেই। সেই কারণে কোচ এবং ম্যানেজারকেও ওই প্রতিযোগীদের সঙ্গে শৌচাগারের পাশে বসে যেতে হয়েছে। বেরহামপুরের কয়েক জন যাত্রী দয়া করে তাঁদের একটু ঘুমনোর ব্যবস্থা করে দেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)