• রাজু-রাজেশ দ্বন্দ্বে অস্বস্তি বাড়চ্ছে তৃণমূলের
    এই সময় | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, মালবাজার: রাজু বনাম রাজেশ। মালবাজারের দুই নেতার লড়াই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূলের। গন্ডগোলের আশঙ্কায় চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসন। সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে, আত্মবিশ্বাসী শাসকদলের জেলা সভাপতি। মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত-সর্বত্রই স্ত্রী সরিতা শাহির মাধ্যমে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিলেন তৃণমূল নেতা রাজু শাহি। সিপিএম জমানায় তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান ঘটেছিল বাগরাকোট থেকে। রাজ্যে ক্ষমতার বদল হলে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন রাজু। পরে বাগরাকোটে উত্থান ঘটে রাজেশ ছেত্রী নামে এক তরুণ নেতার।

    রাজুর থেকে বয়সে অন্তত ১৫ বছরের ছোট রাজেশ বাগরাকোটের চান্দা কোম্পানি এলাকার বাসিন্দা। রাজুর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিদ্রোহ করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। নেপালি ভাষাভাষী গোর্খা সম্প্রদায়ের জনজাতি সংস্কৃতি ও সম্মেলনের তরাই-ডুয়ার্স ভিত্তিক কর্মকাণ্ডে বাড়তি সময় দিতে শুরু করেছেন রাজেশ। তিনি বলেন, 'মানুষের সেবা করে গিয়েছি। পদের লোভ কোনও দিন করিনি।'

    এর পাল্টা পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ শর্মাকে ভাঙিয়ে এনে বিদ্রোহী হিসেবে কাজে লাগিয়ে ফের সামনে উঠে আসতে শুরু করেন রাজু। তিনি বলেন, 'বাগরাকোট থেকে বিগত কয়েক বছরে প্রচুর অভিযোগ উঠে এসেছে। সাধারণ মানুষকে যাঁরা বঞ্চনা করেছেন, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে।' এর ফলে তৃণমূলের মধ্যে টানাপড়েন বেড়ে চলেছে। তার জেরে গত ১০ দিনে দু'পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে একাধিক বার মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    এলাকার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে শাসক শিবিরে লড়াই চলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ বাসিন্দারা। চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, 'বাগরাকোট পঞ্চায়েতের সমস্যা রয়েছে। তবে সেটা এমন কিছু নয়। আমরা বিষয়টি সমাধান করে দেব।'

  • Link to this news (এই সময়)