• 'ভাই ফিরে এলে ওকে কী বলব?' কাঁদতে কাঁদতে বললেন মৃতের খুড়তুতো দাদা
    এই সময় | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, জয়পুর: 'ভাই বাড়ি ফিরলে, তাঁকে কী বলে সান্ত্বনা দেব?' বলেই হাউহাউ করে কাঁদতে লাগলেন মৃত দুধকুমার দোলুইয়ের খুড়তুতো দাদা মনোরঞ্জন দোলুই। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মনোরঞ্জন জানালেন, পরিবারের পাঁচজন সদস্যের মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র বেঁচে রয়েছে দুধকুমারের ছেলে সঞ্জু। সে ওডিশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করে।

    খবর পেয়ে সে ইতিমধ্যেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে। আপাতত তারই অপেক্ষায় রয়েছে পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনেরা। দুধকুমারের বড় বৌদি মালতী দোলুই চোখের জলতে মুছতে মুছতে জানালেন, 'দুধকুমাররা বাঁধের ধারে সরকারি জায়গায় ঘর বেঁধেছিল। যদিও জয়পুর থেকে নারিট যাওয়ার রাস্তার পাশেই তাদের প্রায় দু'কাঠা পৈত্রিক জমি রয়েছে। সেখানেই নতুন ঘর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন দুধকুমার। সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল।'

    প্রতিবেশী পিউ সিং বলেন, 'দুধকুমারের একমাত্র মেয়ে শম্পা পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো নাচ-গান করত। রবিবার রাতে শম্পা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে শম্পা নিজের বাড়িতে চলে গেল। আমি আমার বাড়িতে চলে আসি। তারপরই তার মৃত্যুর খবরটা পেলাম।' তাঁর আক্ষেপ, 'শম্পা আমার দুই মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করত। আমি তো শম্পাকে মেয়ের চোখেই দেখতাম। শম্পার মৃত্যু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।'

    বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকা শ্রমিক দুধকুমার বাড়ির কিছুটা দূরে একটি গোয়াল ঘর করেছিলেন। সেখানে দুটি গোরু, চারটি ছাগল আছে। তাদের এখন কে দেখভাল করবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রতিবেশীরা। এ দিন অবশ্য প্রতিবেশীরাই তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)