হস্তশিল্প মেলা শুরু, শিল্পায়নে রাজ্যের সাফল্য নিয়ে সওয়াল মন্ত্রী চন্দ্রনাথের
বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: হস্তশিল্পে রাজ্যের অগ্রগতি ঈর্ষনীয়। তবু বাংলাকে হেয় করার জন্যই বিরোধীরা বলছেন, এরাজ্যে শিল্প নেই। সোমবার শিলিগুড়িতে রাজ্য হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধনে শিল্পায়নে রাজ্যের সাফল্য নিয়ে এভাবেই সওয়াল করলেন রাজ্য ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হস্তশিল্পে রাজ্য দেশের মধ্যে ১ নম্বর স্থান অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছে। গ্রামীণ বাংলার মহিলা, পুরুষ সকলেই আজ স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে এই শিল্পের মধ্যদিয়ে। মহিলারাও আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাঁত সহ বাংলার ঐতিহ্যশালী বিভিন্ন হস্তশিল্প পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। বাংলার শিল্পী ও তাঁদের হাতে তৈরি জিনিসের কদর বেড়েছে। বিশ্ববাজারেও চাহিদা বাড়ছে। একথা উল্লেখ করে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, হস্তশিল্পের এই অগ্রগতিকে অস্বীকার করে বিরোধীরা বাংলাকে হেয় করার জন্যই বলছে, বাংলায় শিল্প নেই। এদিন শিলিগুড়িতে কাওয়াখালির বিশ্ববাংলা শিল্পীহাটে রাজ্য হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের হস্তশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করে চলেছে। সেখানে শিল্পীদের কাজের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের উৎপাদিত জিনিসের বিক্রির বাজার ধরা, বিশ্ববাজারে তাঁদের জিনিস পৌঁছে দেওয়া সবকিছুই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আজ সম্ভব হয়েছে। তাই হস্তশিল্প আজ বাংলার মানুষের বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রধান মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে। এই হস্তশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শিল্পীদের সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকার কথাও ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের শিল্প সরঞ্জাম কেনার জন্য আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি পেনশন, ৬০ বছর বয়সের আগে মৃত্যু হলে সেই শিল্পীর নিকট আত্মীয়কে আর্থিক অনুদান দেওয়া সবকিছুই তিনি করেছেন। এভাবেই বাংলার কুটির ও হস্তশিল্পের নবজাগরণ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রত্যেক বছরই হস্তশিল্প মেলায় শিল্পী সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বাড়ছে। গত বছর শিলিগুড়ির এই মেলায় পাঁচ কোটিরও বেশি টাকার জিনিস বিক্রি হয়েছে। এবার তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানের অন্যতম অতিথি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
এবারে ৪৫০’র বেশি শিল্পী তাঁদের শিল্প সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববাংলা শিল্পী হাটে এই হস্তশিল্প মেলা চলবে। প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে মেলা চালু হবে। প্রবেশ অবাধ। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দপ্তরের মন্ত্রী, শিলিগুড়ির মেয়র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার প্রমুখ।