ছোট পোশাক-বারে টাকিলা শট, 'রুচিশীল' হুমায়ুনের দলে আর প্রার্থী নন নিশা
আজ তক | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সোমবার হুমায়ুন কবীরের দল 'জনতা উন্নয়ন পার্টি' আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হয়েছে। প্রথম দনি দুই হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে চমকে দিয়েছিলেন হুমায়ুন। মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেন ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী হবেন মনীষা পাণ্ডে। সেইসঙ্গে কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতীকে লড়াই করবেন নিশা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু দল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টাও কাটতে পারল না, বালিগঞ্জ আসনের প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ভরতপুরের বিধায়ক।
জনতা উন্নয়ন পার্টির তরফে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, বালিগঞ্জ থেকেও লড়বেন মুসলিম প্রার্থী। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই নাম ঘোষণা করবেন তিনি। অর্থাৎ, বালিগঞ্জ থেকে লড়বেন না নিশা। কিন্তু মঞ্চে নাম ঘোষণার পর হঠাৎ কেন নিশার নাম বাদ দেওয়া হল? জানা যাচ্ছে সোমবার নিশাকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর রাত থেকে নিশার একাধিক পোস্ট করা রিল ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে রিলগুলির শালিনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দলের অন্দরে। বিতর্ক তৈরি হতে থাকে। আর এরপরই হুমায়ুন সিদ্ধান্ত নেন নিশাকে জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রার্থী পদ থেকে বাতিল করা হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, নিশা চট্টোপাধ্যায়ের কিছু পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিপত্তি শুরু হয়। কানাঘুষো শোনা যায়, নিশাকে নাকি বারে দেখা গিয়েছে, যা দলের ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। সেই কারণেই প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, 'ওঁর কিছু ভিডিও রয়েছে, যেগুলো দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বালিগঞ্জে মুসলিম প্রার্থীর নাম খুব শিগগিরই ঘোষণা করব।' নিশার বদলে ৭ দিনের মধ্যে বালিগঞ্জ আসনে মুসলিম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে 'জনতা উন্নয়ন পার্টি'।
প্রসঙ্গত, বালিগঞ্জ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও কেনো সেখানে কোনও মুসলিম প্রার্থী না দিয়ে নিশাকে প্রার্থী করা হল , এনিয়েও দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। হুমায়ূন অনুগামী সূত্রে খবর কেন কোনও যাচাই না করে, কোন একজনের কথায় প্রার্থী হিসাবে নিশার নাম ঘোষণা করা হল। এছাড়া হুমায়ূনও লক্ষ করেন নিশার সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ধরনের রিল বা ভিডিও পোস্ট করা আছে, তাতে দলের ইমেজ নষ্ট হবে। এই সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখে নিশাকে পার্টি থেকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন হুমায়ুন।