• বালিগঞ্জে প্রার্থী হচ্ছেন না নিশা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এরপরেই মঙ্গলবার কলকাতাবাসী ওই মহিলা জেইউপি-র প্রার্থী হিসেবে বালিগঞ্জে দাঁড়াচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কিন্তু কেন ঘোষণা করার পরেও তাঁকে নির্বাচনে লড়তে দেওয়া হল না ,সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। বালিগঞ্জ থেকে লড়বেন এক মুসলিম প্রার্থী। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বালিগঞ্জের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন।

    গত সোমবার তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থেকে নতুন দলের নাম ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। এর সঙ্গে দশটি বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়। সেই নামের মধ্যে ছিল দুজন হিন্দু প্রার্থীর নাম।

    একজন মনীষা পাণ্ডে, যিনি মুর্শিদাবাদের কেন্দ্র থেকে লড়বেন। আর একজন হলেন নিশা চট্টোপাধ্যায়, যিনি বালিগঞ্জ থেকে লড়বেন। কিন্তু এই নাম ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না হতেই প্রত্যাহার করা হল নিশার নাম। সোমবার নতুন দল হিসেবে ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’র নাম ঘোষণা করা হয়। সেইসময় মঞ্চে উপস্থিতও ছিলেন নিশা। হুমায়ুন কবীরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ছবি তুলতেও দেখা যায় সেদিন।

    সোমবার নিশা জানিয়েছেন, রাজনীতির ময়দানে তিনি নতুন। এতদিন জনসেবামূলক কাজকর্মে যুক্ত ছিলেন। হুমায়ুন তাঁকে রাজনীতিতে আহ্বান করেছিলেন। তবে তিনি ভাবতেই পারেননি যে তাঁকে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী করে দেবেন বিধায়ক।

    কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিশার নাম বাদ দেওয়ার পিছনে কী কারণ তা বলেছেন হুমায়ুন কবীর। প্রার্থী হিসেবে নিশার নাম ঘোষণা করার পরেই সমাজমাধ্যমে নিশার কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই হুমায়ুনের বক্তব্য়, ‘তাঁর কিছু ভিডিও রয়েছে সমাজমাধ্যমে। সমাজমাধ্যমে অঙ্গভঙ্গি ভালো নয়। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে এই বিষয়টি। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

    আগামী ৭ দিনের মধ্যে বালিগঞ্জ আসনে মুসলিম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে নিশা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি প্রার্থী হওয়ার জন্য তো আগ বাড়িয়ে তাঁর কাছে আবেদন করিনি। তিনি নিজে থেকেই আমাকে প্রার্থী করেছিলেন। ঠিক একই কায়দায়  প্রার্থী পদ বাতিল করলেন।’ তিনি আরও বলেন,’আমার মনে হয়, মহিলাদের আচরণ ও স্বাধীনতা নিয়ে সেন্সরশিপ করার অধিকার কারও নেই।’

    এছাড়াও তাঁর দাবি, সমাজমাধ্যমের কোনও ভিডিও-র জন্য নয়, হিন্দু হওয়ার কারণেই প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। হুমায়ুনের এই সিদ্ধান্তকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি কংগ্রেস। কংগ্রেস এক নেতা বলেন, ‘তিনি কী বলছেন, কেন বলছেন, কেন করছেন সেটা উনিই জানেন। এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণ নেই।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)