• দীপু দাসের হত্যার শাস্তি চেয়ে তুলকালাম কলকাতা, বাংলাদেশ উপদূতাবাসের বাইরে আছড়ে পড়ল বিক্ষোভ
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। এর মধ্য়েই গত সোমবার ময়মনসিংহের ভালুকায় নৃশংসভাবে খুন হলেন হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাস। পোশাক কারখানার কর্মী দীপুকে বের করে এনে পিটিয়ে মেরে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। এনিয়ে ঘরে বাইরে চাপে বাংলাদেশ। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফেও। আর বাংলাদেশে হিন্দু যুবক খুনে উত্তাল দিল্লি ও কলকাতাও।

    মঙ্গলবার দীপু চন্দ্র দাসের খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে কলকাতার বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ-সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীরা গেরুয়া পতাকা নিয়ে হাজির হন বেকবাগানে। তাদের আটকাতে উপ দূতাবাসের অনেক আগেই ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়। বাধা পেয়ে মানুষজন বসে পড়েন সেখানেই। শুরু হয়ে যায় ব্যারিকেড ধরে টানাটানি, পুলিসের সঙ্গে ধুন্ধুমার। 

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। হিন্দু ভাইকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এজিনিস চলতে পারে না। থিকথিকে পুলিসি প্রহরা ভেঙে বিক্ষোভকারীরা একেবারে শেষ ব্যারিকেডের কাছেকাছি পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিক্ষোভে আসা এক ব্যক্তি চিত্কার করে বলতে থাকেন, দলদাস পুলিস সনাতনী সাধুদের গায়ে হাত দিয়েছে। বহু বিক্ষোভকারী রাস্তায় বসে পড়েন। তাদের রাস্তা থেকে তুলতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিস। যে জায়গায় বিক্ষোভ চলছিল সেটি মিন্টো পার্ক হয়ে রবীন্দ্র সরণী যাওয়ার রাস্তা। উপর দিয়ে গিয়েছে মা ফ্লাই ওভার। ফলে নীচের ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তারা বাংলাদেশ উপ দৃতাবাসে তারা স্মারকলিপি দিতে চান। কিন্তু তাদের আটকাতেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিসের ব্যারিকেড ধরে টানা টানা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অনেককে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে মৃত লাঠিচার্জও করে পুলিস। তাদের আরেও তেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের পুলিস বারবার বলতে থাকে উপ দূতাবাসের সামনে জমায়েত করা যায় না। কিন্তু পুলিসের কোনও কথাতেই কান দেয়নি জনতা।   

    অন্যদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় ভিএইচপি-বজরং দলের কর্মীরা। পুলিস তাদের আটকাতে লাঠিচার্জ করে কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙেফেলে তারা। গতকালই দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। তার পর থেকেই হাই কমিশনের সামনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। আজ সেই জায়গতেই পৌঁছে গেল ভিএইচপি-বজরং দল।  বিক্ষোভকারীরা মহম্মদ ইউনূসের ছবিতে জুতোর মালা টাঙ্গিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনতার মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে, হিন্দু হত্যা বন্ধ করো।  

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)