• ধর্ষণ, বলপূর্বক বিয়ে, খুন-সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা! বিচার চেয়ে মোদির দ্বারস্থ হাজি মস্তানের মেয়ে
    প্রতিদিন | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দ্বারস্থ হলেন প্রয়াত হাজি মস্তানের মেয়ে হাসিন মস্তান মির্জা। একসময় মুম্বই কাঁপত হাজি মস্তানের নামে। সেই হাজির কন্যা ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, জোর করে বিয়ে, সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগ তুলে দ্বারস্থ হলেন মোদি-শাহর।

    সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসিন দাবি করেন, নাবালিকা অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করে তাঁর মামাতো দাদা। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার যৌন হেনস্থার শিকার হন তিনি। এরপরই তাঁকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তখন হাসিন নাকি মাত্র বারো বছর বয়সি। সেই সঙ্গেই তিনি অভিযোগ করেছেন, হেনস্তার সেখানেই শেষ নয়। বরং পরবর্তী বছরগুলোতেও তা কমেনি। আর এই সব কিছুই শুরু হয় হাজি মস্তানের মৃত্যুর পরে।

    হাসিনের কথায়, ”আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই অনুরোধ করছি যে, আইন এতই কঠোর করা হোক যাতে এই অপরাধীরা, যারা প্রকাশ্যে অপরাধ করছে, তারা ভয় পায়। এটাই আমার প্রধান দাবি। আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, আমার অনাগত সন্তানকে হত্যা করা হয়েছিল, আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল- এবং এই সবকিছুর পর আমাকে রাস্তায় মরার জন্য ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। কিচ্ছু ছিল না।” ১৪ বছর বয়সে তাঁর গর্ভপাত হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সেই সঙ্গেই হাসিনের দাবি, মানসিক ভাবে তিনি এতই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে ২০১০ সালে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন। তিনি এও জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে তিনি প্রথমবার আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই পথে এগোতে গিয়ে বারবার ঠোক্কর খেতে হয়েছে। কেননা আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। তাছাড়া পুলিশের তরফেও কোনওরকম সাহায্য করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। হাসিনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”পুলিশ কোনও সাহায্য করা হয়নি। ওরা সাহায্য করলে আমার মা-ও আমার সঙ্গে থাকত। আমি ন্যায়বিচার পেতাম।”

    হাসিনের আরও দাবি, তিনি হাজি মস্তানের মেয়ে না হলে এমন হত না। তিনি বলছেন, ”আমি যদি হাজি মাস্তানের মেয়ে হিসেবে জন্ম না নিতাম, তাহলে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হতে হত না। অপরাধীদের নজর পড়েছিল আমাদের টাকায়। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর ওরা ভেবেছিল সব টাকা হাতিয়ে নেবে। আর সেই কারণেই ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক বিয়ে। এমনকী আমার প্রাক্তন স্বামীও আমাকে বলেছিল যে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে কারণ আমি হাজি মাস্তানের মেয়ে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)