• আজমিনা-মহিমাদের হাতে তৈরি বড়দিনের কেক, লক্ষ্মীলাভ বর্ধমানের মহিলাদের
    প্রতিদিন | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অর্ক দে, বর্ধমান: আসন্ন বড়দিন। কেকের গন্ধে এখনই ম ম করছে চারপাশে। বর্ধমানে এবার কেকের বাজারে ভিন্ন স্বাদ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে নানা স্বাদের কেক তৈরি করে লক্ষ্মীলাভ করছেন আজমিনা খাতুন, জোৎস্না বেগম, মহিমা শেখরা। এই প্রথম সেখানে কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে কেক তৈরি ও বিপণনের ব্যবস্থা করা হল। জেলা প্রশাসনের তরফে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের হাতে তৈরি কেক এবছরের বড়দিনের বাড়তি পাওনা বর্ধমানবাসীর কাছে।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি ১ ও ২ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কেক তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ২৪ জন মহিলা অংশগ্রহণ করেন। দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে তাঁদের কেক তৈরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৭ দিন ধরে চলে এই প্রশিক্ষণ শিবির। প্রশিক্ষণে কেকের উপকরণ বাছাই, তৈরির প্রক্রিয়া সবই শেখানো হয় তাদের। ‘খাদ্যছায়া’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এই মহিলারাই বড়দিনের আগে বিভিন্ন স্বাদের কেক তৈরি করেছেন। বাজারে নামীদামি সংস্থার মতোই ফ্রুট কেক, ভ্যানিলা কেক, প্লাম কেক ও পেস্ট্রি রয়েছে এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে। জেলাশাসক দপ্তরের কাছে তাঁদের দুটি স্টল রয়েছে। সেখানে সকাল থেকেই নানান ধরনের কেকের পসরা নিয়ে হাজির থাকছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

    স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে নানান সামগ্রী উৎপাদনের মাধ্যমে রোজগারের পথ দেখেছেন মহিলারা। বিভিন্ন মেলায় তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কেক তৈরি প্রশিক্ষণের দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলার পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ সফল হলে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে প্রশিক্ষণের দেওয়া হবে। বড়দিনের আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাদের কেকের স্টলে পথচলতি মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। অনেককেই কেক কিনছেন। ৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত দামের কেক রয়েছে এখানে।

    এনিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, “এবছরই পরীক্ষামূলকভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কেক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রচেষ্টা সফল হলে আগামী দিনে আরও বেশি মহিলাকে প্রশিক্ষণের দিয়ে স্টল করে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তাঁরাও উপার্জন করতে পারবেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)