জ্বলছে বাংলাদেশ, কাজের খোঁজে ভারতে এসে ধৃত ২ অনুপ্রবেশকারী তরুণী!
প্রতিদিন | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ফের নতুন করে অশান্ত বাংলাদেশ। হিংসার আগুনে অশান্তির আঁচ সীমান্ত এলাকাতেও আসতে শুরু করেছে। বাংলার সীমান্তগুলিতেও নজরদারি ও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিএসএফ। সেই আবহেই জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার হল দুই বাংলাদেশি তরুণী। দালালের মাধ্যমে দু’জনে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিলেন! অশান্ত বাংলাদেশ থেকে কাজের খোঁজে তাঁরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ভোররাতে কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। এদিন ভোররাতে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে দুই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণী এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। কোনপাকড়ি এলাকায় গিয়ে পুলিশ তাঁদের পাকড়াও করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁদের কাছে ভারতের অধিবাসী হিসেবে কোনও পরিচয়পত্র নেই। পরে জানা যায়, তাঁরা দু’জনেই বাংলাদেশি। দালালের মাধ্যমে কাজের খোঁজে বাংলাদেশ থেকে তাঁরা এদেশে ঢুকেছিলেন। ধৃতরা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ধৃতদের এদিনই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। যে দালালের মাধ্যমে ওই দু’জন এদেশে ঢুকেছিল, তাঁর খোঁজও চলছে। সীমান্ত এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে চার অনুপ্রবেশকারীকে পাকড়াও করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বনগাঁ থানার রেলবাজার এলাকা থেকে প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল মহম্মদ ফারুক, মহম্মদ আরিফ ও মহম্মদ মারুফ। বেশ কয়েক বছর এদেশে থাকার পর এসআইআর আবহে তাঁরা বাংলাদেশ ফেরার চেষ্টা করছিলেন। পাঠশিমুলিয়া মাঠপাড়া এলাকা থেকে লাভলি মণ্ডল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চোরাই পথে এ দেশে এসেছিল। ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।