সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ হিংসার মাঝে পড়ে মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে বাবা-ছেলের হত্যাকাণ্ডে সাজা ঘোষণা করল জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত। দোষী ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি মৃত চন্দন দাস ও হরগোবিন্দ দাসের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আজ সাজা ঘোষণা হল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ফাঁসির রায় হওয়া উচিত ছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত এপ্রিলে ওয়াকফ আইন লাগু হওয়ার পর তার বিরোধিতায় পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো বঙ্গেও তার সাময়িক আঁচ পড়ে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, সুন্দরবন এলাকায় অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছিল। তার মাঝে গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে এই ওয়াকফ হিংসার প্রতিবাদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক না থাকলেও প্রাণ গিয়েছিল স্থানীয় দাস পরিবারের বাবা-ছেলের। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভের মাঝে পড়ে যাওয়ায় বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এতে আগুনে নতুন করে ঘি পড়ে।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিট গড়া হয় জেলা পুলিশের তরফে। একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকে অভিযুক্তরা। শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চলে শুনানি। ২২ তারিখ, সোমবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মঙ্গলবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করলেন বিচারক। এনিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, মৌলবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে হিন্দু চন্দন দাস ও হরগোবিন্দ দাসকে। খুনিদের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত ছিল। এই রায় সন্তোষজনক নয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু।