• স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে গিয়ে লাগাতার চাপ, চিকিৎসকদের আর্থিক নিরাপত্তায় সম্মেলন শহরে
    প্রতিদিন | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনগণের চিকিৎসা পরিষেবায় সদাসর্বদা নিয়োজিত তাঁরা। রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলে ডাক পড়ে ডাক্তারদেরই। অথচ রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি অথবা মৃত্যু ঘটলে যাঁকে প্রথম কাঠগড়ায় তোলা হয়, তিনি হলেন প্রাণ বাঁচাতে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ে যাওয়া সেই ডাক্তারকেই। এটা চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে বড়সড় ঝুঁকি। শারীরিক-মানসিক তো বটেই, কখনও কখনও ডাক্তারদের আর্থিক নিরাপত্তাও এতে বিঘ্নিত হয়। তাই তাঁদের স্বার্থরক্ষায় শহরে আয়োজিত হল ‘হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলথ ফোরাম’। তাঁদের যথাযথ পরামর্শ দিলেন কলকাতার বিশিষ্ট অর্থ উপদেষ্টা সজল রায় ও শিল্পমহলের অর্থনীতিবিদ নীতিন গোয়েল। চিকিৎসকদের বোঝানো হয়েছে, কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথাযথ ও সুবিধামতো লগ্নি করার সুফল হিসেবে নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে হবে। 

    বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। ডাক্তাররা ঠিকমতো নিজেদের কর্তব্য পালন করেননি বলে রোগীকে বাঁচানো গেল না, এই অভিযোগে হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ভাঙচুর করা হয়। সম্পত্তি নষ্টে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্তে অনেক সময় সব ক্ষেত্রে চিকিৎসক কিংবা চিকিৎসায় গাফিলতির প্রমাণ মেলে না। বরং ডাক্তাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, এটাই উঠে আসে। অথচ ততদিনে একজন চিকিৎসককে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। আর এখানেই চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    শহরে আয়োজিত হওয়া ‘হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলথ ফোরাম’ সেদিকেই নজর দিয়েছে। সম্মেলনে বক্তাদের পরামর্শ, শুধু ভালো, আত্মবিশ্বাসী এবং জনসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক হলেই সবরকম নিরাপত্তা পাওয়া যায় না। অন্যান্য পেশার মতো চিকিৎসকদেরও নিজেদের সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিজেদেরই করে নিতে হবে। জোর দেওয়া হয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিতে। তাতে নিশ্চিন্ত, ছিমছাম, সুন্দর ভবিষ্যৎ কীভাবে তৈরি হবে, ধাপে ধাপে সেই দিশা পাবেন লগ্নিকারী। এমনকী কখন, কোথায় বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ডাক্তারদের। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা করবেন কীভাবে, তাও জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)