‘ছোটখাটো বিষয়ে ভোটারদের হয়রানি নয়’, জোর করে নাম বাদ দিলে পথে নামার হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
প্রতিদিন | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়ার শুনানি পর্ব নিয়ে
বাংলার মানুষ আতঙ্কিত, ভীত! নামের বানান ভুলের মতো ছোটখাটো বিষয়ে ভোটারকে হিয়ারিংয়ে ডেকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে সেই বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূলের দাবি, তাঁদের ডাকার কোনও কারণ নেই। এছাড়াও কাছের কোনও সরকারি দপ্তরে হিয়ারিং প্রক্রিয়া করার দাবি তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। পাশাপাশি তৃণমূলের হুঁশিয়ারি কমিশন জোর করে এক কোটির বেশি নাম বাতিলের পথে হাঁটলে তৃণমূল আন্দোলনে নামবে।
আজ, মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য, শশী পাঁজা, পুলক রায়। সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও বাপি হালদার। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল জানায়, ছোটখাটো বিষয়ে ভোটারদের শুনানি প্রক্রিয়ায় ডাকা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “লজিক্যাল সমস্যা অর্থাৎ নামের বানানে ভুল, ইংরেজিতে নাম এক, বাংলায় নাম অন্য এই সমস্ত বিষয়ে ভোটারদের ডাকার কোনও কারণ নেই, সেই বিষয়টি আমরা জানিয়ে এসেছি।”
তৃণমূলের দাবি, এনুমারেশন পর্বে ইলেকশন কমিশন জানিয়েছিল ছয়জন আত্মীয়র (বাবা,মা, ঠাকুরদা, ঠাকুমা ও দাদু -দিদা) নাম দিয়ে ম্যাপিং করতেন পারবেন ভোটাররা। এখন তাঁদেরও ডকুমেন্ট চাওয়া হচ্ছে, বারে বারে বিভিন্ন রকম কথা বলায় ভোটাররা আতঙ্কিত হচ্ছেন। এতে অন্য বার্তা যাচ্ছে। তাই ইলেকশন কমিশন বারবার অন্যরকম কথা বলা উচিত নয় বলে কমিশনকে জানিয়েছেন তাঁরা।
এছাড়াও, আধার কার্ডকে ১২ নম্বর ডকুমেন্ট হিসাবে আধার কার্ডকে মান্যতা দিতে হবে বলে দাবি করেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কমিশন সব জায়গায় ১১টি নথির কথা বলছে, আধার কার্ডের কথা বলছে না তাই মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে দাবি তৃণমূলের। চন্দ্রিমা বলেন, “বিহার এসআইআরের সময় সুপ্রিম কোর্ট আধার কার্ডকে গ্রহণ করতে বলেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোথাও সেই কথা বলছে না। তারা বলছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, আমরা বলছি যে কয়টি ডকুমন্টের কথা নির্বাচন কমিশন বলছে সেগুলি একটাও নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, ইলেকশন কমিশন কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব দিতে পারে না।”
এই দাবিগুলির পাশাপাশি স্থানীয় কোনও সরকারি দপ্তরে শুনানি প্রক্রিয়া করার দাবি তুলেছে তৃণমূল চন্দ্রিমা-সহ বাকিদের দাবি, দূরে ব্লক অফিসে, ডিএম অফিসে শুনানি হলে অনেকের যেতে অসুবিধা হবে। টাকাও খরচ হবে। চন্দ্রিমার কথায়, “গ্রাম পঞ্চায়েত বা পুরসভার অফিসে হেয়ারিং করুন, ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে এই প্রক্রিয়া করুন। এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশিকা দিন। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন।”