অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর ভয়াবহ সংঘর্ষে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল অসমের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলা। অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেলও ব্যবহার করেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারার অধীনে বেআইনি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, গুজব ও উত্তেজনা রুখতে কার্বি আংলং এবং পশ্চিম কার্বি আংলং— এই দুই জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, খেরোনি এলাকায় শান্তি ফেরাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
এই অঞ্চলে পশুচারণের জন্য পশুচারণের জন্য সংরক্ষিত সরকারি জমি বিহারীরা অবৈধ ভাবে দখল করে আছে বলে অভিযোগ স্থানীয় আদিবাসী জনতার। এই অবৈধ দখলদারদের সেখান থেকে উচ্ছেদের দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে অনশন করছেন তাঁরা। সোমবার থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সোমবার কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিল বা KAAC-র প্রধানের বাসভবন ও খেরোনি বাজারের প্রায় ১৫টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা বলে অভিযোগ।
সংবাদ সংস্থা PTI জানিয়েছে, এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা। একই সময়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে খেরোনি বাজার এলাকায় জড়ো হন আদিবাসী আন্দোলনকারীরাও। হঠাৎ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এলাকায় মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আচমকাই দুই পক্ষই একে অন্যকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া শুরু করে দেয়। ইট-পাথর বৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। এখনও পরিস্থিতি থমথমে।