• স্ত্রীর নম্বরে পাকিস্তানের কোড, ৪ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা
    এই সময় | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • যুবকের স্ত্রীর ফোন নম্বরে ‘+৯২’ কোড, পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র সন্দেহে এক যুবক এবং তাঁর তিন সঙ্গীকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গৈতর এলাকায়। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার ফরাক্কার সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা চার যুবক রায়গঞ্জের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গৈতর এলাকায় একটি কাঠের মিলে থাকা কাঁঠাল গাছের পাতা কাটতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন এ কাজ করতে আগেও সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু এক জন ছিলেন নতুন। সেই নতুন যুবক মিলে থাকা ধর্মেন্দ্র সরকারের কাছে পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। যুবক জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী ধর্মেন্দ্রকে অনলাইনে টাকা ফিরিয়ে দেবেন। সেই সময়েই ধর্মেন্দ্র নিজের অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপের স্ক্যানার ওই যুবকের স্ত্রীকে পাঠানোর জন্য তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চান। সেই সময়েই ধর্মেন্দ্র দেখেন যুবকের স্ত্রীর নম্বর কোড +৯২। তা পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক কান্ট্রি কোড। এর পরেই তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি যুবককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেও সদুত্তোর মেলেনি বলে তাঁর দাবি।

    জানা যায়, এর পরে ধর্মেন্দ্র ওই যুবকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং ফোনে একাধিক +৯২ কোড যুক্ত নম্বরের সঙ্গে তাঁর ভয়েস মেসেজ এবং টাকা চালাচালির প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। পুলিশ ওই যুবক-সহ তাঁর তিন সঙ্গীকে আটক করে এবং থানায় নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি ফরাক্কার সামশেরগঞ্জ এলাকায়।

    এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সোনাওয়ানে কুলদীপ সুরেশ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে. ওই যুবক কিছুদিন আগে ফেসবুকে অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বাড়ি ফরাক্কা এলাকায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)