বাড়িতেই তৈরি করুন জয়নগরের মোয়া, দু'হাতে আয় হবে টাকা
আজ তক | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শীত পড়লেই মোয়াপ্রেমী বাঙালি খোঁজে জয়নগরের মোয়া। গত কয়েক দশক ধরে মোয়ার বাজারে জয়নগরের নাম অক্ষুণ্ণ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই শীতে জয়নগরের একটা-দুটো মোয়ার প্যাকেট আসবেই। কিন্তু ওই দু-একটা মোয়ায় কি আর মন ভরে? তাই যারা মোয়া খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা জেনে নিন কী ভাবে বাড়িতেই তৈরি করবেন জয়নগরের মোয়া।
জয়নগরে মোয়া কী ভাবে তৈরি হয়?
জয়নগরের মোয়া তৈরিতে গুড়ের ভূমিকা অসাধারণ। ভোর ৩টের সময় শিউলিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। এরপর ভোর ৫টা-সাড়ে ৫ টা থেকে শুরু হয় গুড় তৈরির কাজ। এই গুড়ই মোয়ার মূল রহস্য। গুড় তৈরির পর ৭টা নাগাদ তা হাতে পান মোয়ার কারিগররা। এরপর সেই গুড় প্রস্তুত করা হয় মোয়ার জন্য। আবার আগুনের তাপে জ্বালিয়ে গুড় ঘন করা হয়। এরপর তাতে মেশানো হয় খই। খইয়ের সঙ্গে গুড় মাখিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে দিতে হয় সেই মিশ্রণ। এই সময়ের মধ্যে মিশ্রণ কিছুটা নরম হয়। তারও পরে মোয়া তৈরির সময় ফের গুড়, ঘি কাজু, কিসমিস, এলাচ দিয়ে মোয়ার মণ্ড তৈরি করা হয়। গোলাকার আকার আসার পরে মোয়ার উপরে একটু করে ক্ষীর দিয়ে প্যাকিং করা হয়।
কতটা জিনিসের প্রয়োজন হয়?
জয়নগরের মোয়া কারিগর ও বিক্রেতা রাজেশ দাস bangla.aajtak.in কে জানিয়েছেন, ১০০০ পিস মোয়া তৈরিতে প্রায় ৮ কলসি গুড়ের প্রয়োজন হয়। ১০০০ পিস গুড় তৈরিতে প্রায় ৫ কেজি গুড়ের প্রয়োজন হয়। ঘি লাগে প্রায় ৩ লিটার, কাজু ও কিসমিস লাগবে প্রায় সাড়ে ৩ কেজি করে।
বাড়িতে কী ভাবে আয় সম্ভব?
জয়নগরের মোয়ার উপকরণ তো রইলই। এগুলি মেনে বাড়িতে বসেই তৈরি করা যাবে মোয়া। এই মোয়া তৈরিতে যা যা জিনিস প্রয়োজন, তা পাওয়া যায় হাতের কাছেই। নিজের বাড়িতেই তৈরি করে প্যাকিং করে বিক্রি করা সম্ভব। অনলাইনে অ্যাড দিয়ে মোয়া বিক্রি করা যেতে পারে। তবে এরজন্য ফুড লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া জরুরি।
আয় কত হবে?
এক একটি মোয়া তৈরিতে ৬-৭ টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু জয়নগরের মোয়া প্রতিপিস হিসেবে ১২-১৫ টাকায় বিক্রি করা যেতে পারে। তাই এই ব্যবসায় প্রায় দ্বিগুণ লাভ রয়েছে। ফলে বাড়িতেই ছোট আকারে এই ব্যবসা শুরু করতেই পারেন।