• খেতে না পেয়েই বন্ধ ফ্ল্যাটে 'পচে মরল' ২ বোন? দেহ মিলতেই তীব্র চাঞ্চল্য..
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বরুণ সেনগুপ্ত: একজনের বয়স ৬১, আরেকজনের ৫৭। দুই বোনের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। আত্মহত্যা, খুন নাকি অনাহার? ঘনাচ্ছে রহস্য। তদন্তে খড়দহ থানার পুলিস।

    পুলিস সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন সবিতা দত্ত চট্টোপাধ্যায়  ও কনিকা দত্ত। সোদপুরের হরিশচন্দ্র দত্ত রোডের একটি বহুতলের একতলা ফ্ল্যাটে থাকতেন দু'জনে। প্রতিবেশীদের দাবি, এলাকায় তেমন মেলামেশা করতেন না তাঁরা। তবে পরিবারে আর্থিক সমস্যা ছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, ঠিকমতো খাওয়া-ও জুটত না।

    গত কয়েক দিন ধরেই এলাকা দেখা যাচ্ছিল না সবিতা ও কনিকাকে। সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফ্ল্যাট থেকে দু'জনের দেহ  উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিকভাবে দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তাহলে কীভাবে মৃত্যু? কারণ স্পষ্ট নয় এখনও। প্রতিবেশীদের অনুমান, দীর্ঘদিন হয়তো খেতে পাননি তাঁরা। অনাহারে মৃত্যু হয়েছে।

    এর আগে, : ভাড়াটে দুই তরুণের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির মালবাজার শহরে। মৃত দুই তরুণের নাম সঞ্জীব বর্মন ও অনুপ রায়।  সঞ্জীবের বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা থানার ছোট শালকুমার গ্রামে। অনুপ মেডলি থানার ধুপঝোরার  বাসিন্দা।  স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগেই শহরের বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় জনৈক জয়প্রকাশ পন্ডিতের বাড়িতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।

    শুক্রবার রাতে মালবাজারের ভাড়াবাড়িতে থেকে ওই দুই তরুণের ঝুলন্ত দেহ দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৫ থেকে নিখোঁজ ছিলেন সঞ্জীব। ফালাকাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে মালবাজারে তাঁর অবস্থানের হদিশও পেয়েছিল ফালাকাটা থানার পুলিস। খবর পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই মালবাজার হাসপাতালে পৌঁছায় অনুপের পরিবার।  বাবা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।  প্রতিবেশী বিটেন রায় বলেন, অনুপ বাড়িতে জানিয়েছিল একটি মন্দিরে পুরোহিতের কাজ করে সে। । একই দড়িতে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া দিয়েছে সঞ্জীব ও অনুপকে। 

    এদিকে  বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নরেন্দ্রপুরে। মৃতের নাম শুভ্রা সরদার।  ফোনে কথা বলা নিয়ে  দীর্ঘদিন ধরেই মনোমালিন্য স্বামী  স্বামী রানা সরদারের সঙ্গে নাকি মনোমালিন্য চলছিল তাঁর! বস্তুত, পরকীয়া সন্দেহে শুভ্রার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্য়াচার চালানো হত বলেও অভিযোগ।

    জানা গিয়েছে, সোশ্য়াল মিডিয়ার সূত্রেই আলাপ দু'জনের আলাপ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বারুইপুর থানার কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা শুভ্রা সরদারের সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার কেলেগোড় এলাকার বাসিন্দা রানা সরদারের বিয়ে হয়। এলাকায় মেলা ও পৌষ মাসে বাপের বাড়িতে থাকবে—এই কারণ দেখিয়ে ১৭ ডিসেম্বর বুধবার শুভ্রাকে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর মা। কিন্তু রবিবার ২১ তারিখ শ্বশুর ভদ্রেশ্বর সরদার এসে জোর করে তাঁকে আবার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরদিন সোমবার প্রতিবেশীর ফোনে শুভ্রার মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর বাবা-মা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)