সমরাস্ত্রে আরও দেড় লক্ষ কোটি, পাক-বাংলাদেশের যৌথ চক্রান্ত, প্রস্তুত ভারতও
বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের নতুন বন্ধু পাকিস্তান! একজোট হয়ে তারা ভারত বিরোধী প্রচার ও প্ররোচনার প্রোজেক্ট নিয়েছে। এমনই বৃহত্তর চক্রান্তের আভাস পেয়েছে নয়াদিল্লি। আর তাই ভারত সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। প্রথম পদক্ষেপ, বিপুল বাড়তে চলেছে দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট। আসন্ন বাজেটে সামরিক খাতে অন্তত দেড় লক্ষ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ হওয়ার সম্ভাবনা। অর্থমন্ত্রকের কাছে এই মর্মেই প্রস্তাব ও রূপরেখা জমা দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কারণ স্পষ্ট। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এবং রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের ভারসাম্যের অভাবে ভারতের সামরিক উপকরণ ক্রয় দীর্ঘদিন ধরেই বিলম্বের শিকার। বিশেষ করে এয়ারফোর্স পুরোনো যাবতীয় ফাইটার জেট সিরিজকেই বাতিল করে দিতে মরিয়া। অত্যাধুনিক ফাইটার জেট সিরিজ এবং ‘এয়ার টু এয়ার’ মিসাইল নিক্ষেপের ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হবে শীঘ্রই। রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পর এবার দ্রুত সেই চুক্তি সম্পন্ন করা হবে। তবে দীর্ঘকালীন ডেলিভারির পাশাপাশি যুদ্ধবিমান দ্রুত যাতে পাওয়া যায়, সেই শর্তও রাখা হচ্ছে চুক্তিতে।
২০২৫ সালের বাজেটে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকা। ২০২৬ সালে তা অন্তত ৮ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু কেন? প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এমন কোনও উন্নত সামরিক শক্তির দেশ নেই যাদের প্রতিরক্ষায় বাজেট বরাদ্দ জিডিপির অন্তত ৩ শতাংশের কম। সেখানে ভারতের ২ শতাংশও হচ্ছে না। কিন্তু এবার বাজেট বৃদ্ধির নেপথ্যে পরোক্ষ কারণই আসলে মুখ্য। আর তা হল, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈরিতা ভুলে এখন ভারতের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা কামরান সঈদ উসমানি হুমকি দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের দিকে ভারত যদি চোখ তুলে দেখার সাহস করে, তাহলে ভারত যেন মনে রাখে যে, পাকিস্তানের আর্মি দূরে বসে নেই। সর্বশক্তি নিয়ে শিক্ষা দেবে।’ এক ভিডিও বার্তায় উসমানি আরও বলেছেন, ‘ভারত সরকারের ‘অখণ্ড ভারত’ প্রোজেক্ট আছে আমরা জানি। তারা চায় পাকিস্তান, বাংলাদেশকে দখল করে নিতে। সেটা সম্ভব নয়। আমরা তৈরি আছি।’
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সমঝোতা ও চুক্তি হতে চলেছে। দু’পক্ষের গডফাদারই চীন ও কিছুটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিত ভারত বিরোধিতার উৎসব শুরু হয়েছে, তার পিছনে সবথেকে বড় শক্তি হল পাকিস্তান। রয়েছে তুরস্কের মদতও। সুতরাং চরম এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি। আর তাই শুধু সেনা নয়, আধা সামরিক বাহিনীর শূন্য পদে নিয়োগেও ঝাঁপাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর সেই লক্ষ্যে স্থির হয়েছে অগ্নিবীরদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে বিএসএফের জওয়ান নিয়োগে। প্রায় ৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে আধা সামরিক বাহিনীতে। নভেম্বর মাসে অসমের ধুবড়ি এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে দু’টি নতুন আর্মি ঘাঁটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে নতুন বছরেই। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য হল, তিন ফ্রন্টেই যুদ্ধ করার ক্ষমতা অর্জন। চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ!