• লক্ষ্য ভোট? প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার পাচ্ছে বাংলা
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: ভোট আসতেই ফের বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের ‘স্বপ্ন ফেরি’! বিহারের পর এবার বাংলায়। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রেল সূত্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল খবর—অক্টোবরেই দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার কোচের ট্রেন চলবে পাটনা থেকে দিল্লির মধ্যে। তারপর যথারীতি পাটনার মসনদ দখল করেছে বিজেপি এবং তার সহযোগী জেডিইউ। কিন্তু পাটনা-নয়াদিল্লি বন্দে ভারত স্লিপার কোচ ট্রেনের চাকা আজও গড়ায়নি। এবার সেই একই টোপ ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে! রেল সূত্রের খবর, বাংলায় ভোট ঘোষণার আগেই দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার কোচ ট্রেনের শুভারম্ভ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়াদিল্লি-হাওড়ার মধ্যে চলাচল করবে ১৬ কামরার এই ট্রেনটি। সোমবার ইলেকট্রিক্যাল সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের রেল কর্তাদের হাওড়ার ঝিলপাড় সাইডিং পরিদর্শনের পর নয়া এই ট্রেন চালুর বিষয়টি সামনে এসেছে। রেল কর্তারা বলছেন, আরও আধুনিক ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা যুক্ত বন্দে ভারত স্লিপার কোচ ট্রেনটির রেক রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে ঝিলপাড় সাইডিংয়ে। যদিও বিহারের দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে প্রশ্ন উঠেছে, এবারও শুধু ভোট প্রতিশ্রুতি হবে না তো? বিষয়টি নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু রাজনৈতিক মহলে। 

    কথা ছিল, দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার চলবে নয়াদিল্লি থেকে জন্মু-শ্রীনগর রুটে। কিন্তু বিহারের মতো সেই পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হয়নি। রেল কর্তারা এখন বলছেন, বন্দে ভারত স্লিপার কোচের প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে বেঙ্গালুরুর বিইএমএল’এ। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে ঝা চকচকে রেক। সবকিছু ঠিক থাকলে নয়া বছরের গোড়াতেই তা চলে আসবে হাওড়ায়। আরও উন্নতমান ও গতি বাড়িয়ে পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তর ভারতকে জুড়বে এই ট্রেন। বর্তমানে বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্দে ভারতের যে সেমি হাইস্পিড ট্রেনগুলি চলছে, সব ক’টিই চেয়ার কার। অর্থাৎ বসে সফর করতে হয় যাত্রীদের। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া-নয়াদিল্লির মধ্যে দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার কোচ ট্রেনটি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে। ১৬টি কামরার মধ্যে থাকবে এসি ফার্স্ট ক্লাস, টু টায়ার এবং থ্রি টায়ার। 

    রেলের ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে চালু থাকা দেশের প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির থেকেও যাত্রী-বান্ধব বাড়তি ব্যবস্থা থাকবে নয়া বন্দে ভারত স্লিপারে। আসন, আলো, শৌচাগার সহ একাধিক মৌলিক পরিষেবায় প্রচুর বদল আনা হয়েছে। রেল কর্তাদের দাবি, এটি টক্কর দেবে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবাকেও। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি-বারাণসী রুটে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনটি চালু হয়। বাংলার ভাগ্যে তা প্রথম জোটে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। মাতৃ বিয়োগের কারণে ওইদিন বাংলা সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আমেদাবাদ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটের ট্রেনটি।
  • Link to this news (বর্তমান)