• টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীর গলায় কোপ প্রেমিকের
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: বিয়ের প্রস্তাব দিলেও রাজি হয়নি প্রেমিকার পরিবার। ‘বদলা’ নিতে কিশোরীর গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ইংলিশবাজারের এক যুবকের বিরুদ্ধে।

    সোমবার সন্ধ্যায় টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল নাবালিকা। হামলার পর মুহূর্তের মধ্যে তার স্মার্টফোন ছিনিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ ব্লকের জোত গোবিন্দপুর গ্রামে একটি বাগান সংলগ্ন এলাকায়। নাবালিকা বর্তমানে মালদহ মেডিকেল কলেজে এবং হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের তরফে ওই যুবকের নামে পুরাতন মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের বাড়ি সাহাপুর জোত গোবিন্দপুর এলাকায়। সে ইংলিশবাজার ব্লকের জহরাতলা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়ার পথে কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় কিশোরীর। কিছুদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে বারবার নাবালিকাকে বিয়ের কথা বলতে থাকে যুবক। তবে, ১৮ বছর না হওয়ায় নাবালিকার পরিবার বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। সেজন্যই হয়তো রাগ বাড়ছিল যুবকের। সোমবার বিকেলে রায়পুরের একটি ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় কিশোরী টিউশন পড়তে গিয়েছিল। সন্ধ্যা ৬ টার পর সেখান থেকে বাগানের পথ ধরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। অভিযোগ, ওই সময় মেয়েটির পথ আটকায় ইংলিশবাজারের যুবক। কিশোরী পালানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত উত্তেজিত হয়ে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে ধারালো চাকু দিয়ে গলায় কোপ মারে। এমন অবস্থায় মেয়েটি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসার আগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। খবর পেয়ে পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    নাবালিকার বাবা জানান, তাঁর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাগান সংলগ্ন এলাকায় তার গলায় চাকু দিয়ে একটি ছেলে কোপ মেরেছে। 

    সঠিক কী ঘটেছিল মেয়েই বলতে পারবে। তাঁদের অনুমান, ওই ছেলের সঙ্গে হয়তো মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্কুলে যাতায়াতের পথেই দু’জনের পরিচয়। ছেলেটির পরিবার এর আগে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, সেই সময় তারা পণ দাবি করে। কিন্তু মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে দিতে রাজি হননি।

    কিশোরীর বাবার মন্তব্য, এখন মনে হচ্ছে বিয়ের জন্য আমরা রাজি না হওয়ায় ছেলেটি এমন কাজ করেছে। সে মেয়ের ফোন নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। পুলিশ দ্রুত তাকে খুঁজে বের করুক।

    মালদহ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন এলাকায়।
  • Link to this news (বর্তমান)