• নম্বরহীন ডাম্পারের দৌরাত্ম্য ক্যানেল রোডে জীবন হাতে গজলডোবার পথে পর্যটকরা
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বেপরোয়া গতিতে নম্বরবিহীন ডাম্পার চলছে ফুলবাড়ি ক্যানেল ও গজোলডোবা রোডে। মাঝেমধ্যে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছেই। অতীতে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ক্যানেল রোডে। স্থানীয়দের দাবি, চোখের সামনে ঝড়ের গতিতে ডাম্পাগুলি চললেও হুঁশ নেই ট্রাফিক পুলিশের। একপ্রকার প্রাণহাতে নিয়েই গজলডোবার ভোরের আলোয় যাচ্ছেন পর্যটকরা। যা নিয়ে তাঁদের মধ্যেও ক্ষোভের শেষ নেই। ছুটির দিনে এই পথে শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর মানুষ বাইক, গাড়ি নিয়ে যায়। কিন্তু যেভাবে একে অপরকে টেক্কা দিতে দিনভর ডাম্পারগুলি চলে তাতে প্রাণসংশয় থাকে প্রতি মুহূর্তে। 

    কীভাবে বালি-পাথর বোঝাই ডাম্পারগুলি বেপরোয়া গতিতে ছুটছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিস্তর। রাজগঞ্জ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময়ে এই এলাকা দিয়ে ডাম্পার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। তা নিয়ে একের পর এক আন্দোলনে শামিল হন ডাম্পার মালিক ও চালক সহ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এরপর প্রশাসন ও তিস্তা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেয় সর্বোচ্চ ২৫ টন সামগ্রী বোঝাই করে ডাম্পার ক্যানেল রোডে চলতে পারবে। তাই ছয় চাকার ডাম্পার এখন এই রুটে চলে। দশ চাকা কিংবা তার বেশি চাকার ডাম্পার ঢুকতে দেওয়া হয় না। 

    যদিও এই বিষয়ে ডাম্পার মালিকদের দাবি, তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনেই ডাম্পার চালাচ্ছেন। নদী থেকে ভেজা বালি-পাথর নিয়ে যাওয়ায় কোনও কোনও সময়ে গাড়ি নম্বর প্লেট খুলে যায়। কিংবা নম্বর প্লেটে মাটি-কাদা লেগে থাকে। ওসব চোখে পড়লেই ঠিক করে নেওয়া হয়।  অন্যদিকে, ট্রাফিক পুলিশের দাবি, ফুলবাড়ি ক্যানেল থেকে গজোলডোবা যাওয়ার রাস্তায় লাগাতার নজরদারি চলে। সংশ্লিষ্ট রাস্তায় একাধিক চেকপোস্ট ও ট্রাফিক বুথে পুলিশ কর্মীরা থাকেন। তাঁরা নজরদারি চালান। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি (ট্রাফিক) কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট মেইন রোড সহ সব পকেট রুটে নজর রাখি। কেউ অভিযোগ জানালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

    এ বিষয়ে গজোলডোবা ডাম্পার মালিক ইউনিয়নের সম্পাদক গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই নিজেদের গাড়ি চালাই। ২৫ টনের বেশি বালি-পাথর নিয়ে গাড়ি চালানো হয় না। গাড়ির সামনে-পিছনে নম্বর থাকে। কখনও কখনও নম্বর প্লেট খুলে যায়। সেটা চোখে পড়লে লাগিয়ে নেওয়া হয়।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)