• শীতের ছুটিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার স্বাদ বড়পর্দায় নজর কাড়ছে দিনহাটার সম্রাজ্ঞীর ছবি
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: শীত পড়তেই বেড়াতে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বাঙালি। অনেকেই যান পাহাড়ের দিকে, কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে কিছুটা সময় কাটাতে। কিন্তু সময়, শরীর কিংবা অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে সেই সাধ্য সকলের হয়ে ওঠে না। এমনই এক সময়ে পাহাড়প্রেমী বাঙালির মনে এক অন্যরকম স্বস্তি এনে দিয়েছে উত্তরবঙ্গের মেয়ে সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত বাংলা একটি চলচ্চিত্র। ১২ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সেই ছবির শুটিং হয়েছে বাংলা-নেপাল সীমান্তে, কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে। পাহাড়ে যেতে না পারা বহু দর্শক এই ছবি দেখেই যেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের স্বাদ পাচ্ছেন। 

    ছবিতে সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রের নাম ‘ইরা’। গল্প অনুযায়ী, পাহাড়ে ভ্রমণে গিয়েছিল দুই বাঙালি কন্যা— ইরা ও ম্যাক্সি। ভ্রমণপিপাসু এই দুই মেয়ের হিমালয় দেখার স্বপ্ন হঠাৎই দুঃস্বপ্নে বদলে যায়। বিপদের মুখে পড়েন তাঁরা, আর এক সময় রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায় ম্যাক্সি। তাঁকে কি উদ্ধার করতে পারবে ইরা, এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলে ছবির কাহিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শককে আসনে বেঁধে রাখে এই থ্রিলারধর্মী ছবি। 

    সম্রাজ্ঞীর বাড়ি দিনহাটার গোপালনগর কলোনিতে। কলকাতায় পড়াশোনা শেষে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন। মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই তাঁর অভিনয় জীবনের ভিত গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে একাধিক বাংলা ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন সম্রাজ্ঞী। টেলিভিশনের পাশাপাশি বড় পর্দাতেও ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করেন। ‘ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে’ ছবিটিই তাঁর অভিনীত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি, যেখানে তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। 

    ঘরের মেয়ের এই ছবি মুক্তি পাওয়ায় দিনহাটাতেও উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছে সিনেমাপ্রেমী সাধারণ মানুষ। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটার গর্ব। দিনহাটা পুরসভার চেয়ারপারসন অপর্ণা দে নন্দী বলেন, সম্রাজ্ঞী আমার বন্ধুর মেয়ে। প্রান্তিক এই শহরের মেয়ে কলকাতায় নিজের জায়গা তৈরি করেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। 

    নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সম্রাজ্ঞী বলেন, পরিবারের সকলের সমর্থন না পেলে আজ এখানে পৌঁছনো সম্ভব হত না। দিনহাটার মানুষের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।  
  • Link to this news (বর্তমান)