কুশমণ্ডির সীমান্তবর্তী গ্রামে পাকা সেতু উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত
বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডির সীমান্তবর্তী গ্রামে পাকা সেতুর উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন কুশমণ্ডির উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুর এলাকায় স্থানীয় বিলের উপরে কংক্রিটের সেতুর উদ্বোধন হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুজো করে সেতুটি চালু করেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুশমণ্ডির প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। ভোট প্রচারে গিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষ কীভাবে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করে তা দেখেছিলেন সুকান্ত। রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধিরা শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের কথা রাখেননি বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত কথা দিয়েছিলেন নতুন সেতু নির্মাণ হবে। ২০২৫ সালের শেষে এসে সেতু নির্মাণ হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী গ্রাম পূর্ব বাসইল, ঝগড়াপাড়া, মহেশপুর, সরাইপুর এলাকার বাসিন্দাদের কুশমণ্ডিতে যাতায়াত করার একমাত্র পথ যা এতদিন বাঁশের সাঁকোর উপরেই নির্ভর ছিল। নতুন সেতু হওয়ায় গ্রামে ছোট গাড়ি প্রবেশ থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামের মান উন্নয়ন হবে বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা দুন্দুরাম সরকার বলেন, আমার বয়স ৭০ বছর। বাঁশের সাঁকো দিয়েই আমরা বিলের পথ পেরিয়েছি। ব্রিজের স্বপ্ন আজ আমাদের পূরণ হল। ১০ বছর আগে আমরা জেলা প্রশাসন ও তৃণমূলের সাংসদকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু কাজ হয়নি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে সুকান্ত মজুমদার আসতেই আমরা ব্রিজের দাবি জানাই। তিনি আমাদের মতো প্রত্যন্ত গ্রামবাসীদের কথা রেখেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম মহেশপুরের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থানীয় বিলের উপরে একটি পাকা সেতু। সেটি আমি আমার তহবিল থেকে করে দিলাম। এলাকার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। যা বিধায়ক ও জেলা পরিষদের করা উচিত। কিন্তু তারা তা করছে না। বাধ্য হয়েই আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।