নোটিশ প্রাপক ভোটারের বাড়ি গিয়ে ছবি তুলে পাঠাতে হবে, নয়া নির্দেশিকায় চাপে বিএলওরা, ২৭ ডিসেম্বর প্রথম শুনানি
বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সুখেন্দু পাল, বর্ধমান: ফের নয়া নির্দেশিকা এসে পৌঁছল বিএলওদের কাছে। এতদিন ঠিক ছিল বিএলওরা ভোটারের বাড়ি বাড়ি নোটিশ পৌঁছে দিলেই হবে। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে, বাড়ি গিয়ে তাঁদের ছবি তুলতে হবে। কেউ বাড়িতে না থাকলে, যিনি নোটিশ নেবেন তাঁর ছবি আপলোড করতে হবে। শুনানিতে ডাক পাওয়া ব্যক্তি বা মহিলার সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক, সেটা আপলোড করতে হবে। এরপর শুনানি কেন্দ্রেও ফের একবার ছবি তোলা হবে। তবে, সেখানে একা নয়, এইআরও বা ইআরও এবং মাইক্রো অবজার্ভারের সঙ্গে শুনানি হওয়া ব্যক্তির ছবি তোলা হবে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুনানি শুরু হচ্ছে। তার আগে নোটিশ বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে প্রথম দিনে সাত হাজার জন শুনানি কেন্দ্রে ডাক পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, জেলায় এক লক্ষ এক হাজার ভোটারকে ধাপে ধাপে ডাকা হবে।
এক আধিকারিক বলেন, কমিশন ঘনঘন সিদ্ধান্ত বদল করছে। এখনও পর্যন্ত বলা হয়েছে, শুনানি কেন্দ্রে নো ম্যাপিং ভোটারদের ডাকলেই হবে। পরে হয়তো আবার নিয়ম বদল হচ্ছে। শুনানির সময় যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রে ডাক পাওয়া ব্যক্তিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যাতে অশান্তি পাকাতে না পারে, তার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লক অফিসে শুনানি হবে। কমিশন প্রথমে জানিয়েছিল, সাতদিন আগে শুনানির জন্য নোটিশ দিতে হবে। কিন্তু খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নোটিশের ফরম্যাট পাঠাতে কমিশন দেরি করে। সেই কারণে শুনানি ২৭ তারিখের আগে শুরু করা যায়নি। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিএলওরা নামের ভুল বানান সংশোধনের কাজ করছেন। অ্যাপের ভুলের খেসারত বিএলওদের দিতে হচ্ছে। নথি দেখে আবার তাঁদের বানান সংশোধন করতে হচ্ছে। এছাড়া, নতুন ভোটারদের নাম তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বিডিও বা বিএলওদের কাছ থেকে নতুন ভোটাররা ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। নতুন ভোটারদেরও ফর্মের সঙ্গে ঘোষণাপত্র দিতে হচ্ছে। যাঁরা অনলাইনে আবেদন করেছেন, তাঁদেরও ঘোষণাপত্র দিতে হবে।
আধিকারিকদের দাবি, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য এবার নতুনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে। অন্যান্য বছর নির্বাচন কমিশনকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হত। লাগাতার প্রচার চালানোর পরও নতুনদের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে উৎসাহ থাকত না। কিন্তু এবছর উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে। নতুন ভোটার বা তাঁদের অভিভাবকরা নিজে থেকেই সরকারি অফিসে এসে খোঁজ নিচ্ছেন। তবে, একসঙ্গে একাধিক নির্দেশিকা আসতে থাকায় বিএলওদের চাপ বাড়ছে। এখন তাঁরা নোটিশ বিলির পাশাপাশি শুনানিতে ডাক পাওয়া ব্যক্তিদের ছবি তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন।