• রাজ্যের অন্যত্র চালু হয়েছে মঙ্গলবারেই, টালিগঞ্জ বিধানসভায় আজ শুরু শুনানির নোটিশ বিলি
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যের সব বিধানসভাতেই শুনানির নোটিশ ডাউনলোড করে ভোটারদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একমাত্র টালিগঞ্জ বিধানসভায় এই কাজ শুরু হয়নি। তবে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নোটিশ ডাউনলোড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই বিধানসভার নির্বাচনী আধিকারিকরা। বুধবার থেকে ‘সন্দেহজনক’ ভোটারদের সেগুলি বিলি করা শুরু করবেন বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওরা। অন্যান্য বিধানসভায় যেখানে ২১-২২ ডিসেম্বর থেকে শুনানির নোটিশ ডাউনলোড করে বিলির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল, সেখানে একমাত্র টালিগঞ্জে তা কেন শুরু করা গেল না? সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি আধিকারিকরা বলছেন, হিয়ারিং সূচি তৈরি করতে একটু সময় লেগেছে। নির্ভুল কাজের স্বার্থেই একটু সময় লাগছে। আজ, বুধবার থেকে নোটিশ বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ৩০-৩১ ডিসেম্বর থেকে শুনানি আরম্ভ হবে বিভিন্ন কেন্দ্রে। এই বিধানসভায় ২৮ হাজার ৬১০ জন ভোটারকে শুনানির নোটিশ দেওয়া হবে। এঁরা কেউই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোনও নিজেদের বা কোনও আত্মীয়ের নাম দেখাতে পারেননি। 

    এদিকে, রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে শুনানির নোটিশ ডাউনলোডের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মঙ্গলবার সকাল ৮টার রিপোর্টের সূত্রে জানা গিয়েছে এই তথ্য। এর মধ্যে হুগলির আরামবাগ, পুরশুড়া, খানাকুল, ধনেখালি, হরিপাল, জাঙ্গিপাড়া, হাওড়ার উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, উলুবেড়িয়া পূর্ব, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি, পাথরপ্রতিমা, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি, তমলুক, কাঁথি উত্তর প্রভৃতি বিধানসভা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ২৬টি বিধানসভায় ইতিমধ্যে নোটিশ ডাউনলোড শেষ করে ফেলার একটি অন্যতম কারণ হল, এই কেন্দ্রগুলিতে শুনানিতে ডাক পাওয়া ভোটারের সংখ্যা তুলনামূলক কম। 

    এই আবহে রাজ্যজুড়ে শুনানিতে যাঁরা ডাক পেতে চলেছেন, তাঁরা নিজেদের নথিপত্র গোছাতে ব্যস্ত। তবে টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় শুনানি নিয়ে তেমন কোনও উদ্বেগ বা আতঙ্ক নজরে আসেনি। গল্ফগ্রিন, বিজয়গড় এলাকার (৯৫ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি আমার এলাকায়। এসআইআর প্রক্রিয়া ভালো মতোই চলছে। শুনানিতে অনেকেই ডাক পেয়েছেন। যাঁরা নথিপত্রগত সমস্যা নিয়ে আসছেন, তঁদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, পূর্ব পুটিয়ারি এলাকার (১১৪ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ মণ্ডলের কথায়, ‘বহু মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ফোন করছেন, এমন পরিস্থিতি নেই। তবে সবাই যে যার নথিপত্র ঠিকঠাক করতে ও গুছিয়ে রাখতে তৎপর। আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করছি। তবে বয়স্ক মানুষরা বাড়ির থেকে দূরে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একটা চিন্তা তো আছেই।’
  • Link to this news (বর্তমান)