অর্ণবাংশু নিয়োগী: ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি তালিকা বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছিল প্রায় ৫ লাখ OBC সার্টিফিকেট। যদিও ২০১০ সালের আগের ঘোষিত ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিদের শংসাপত্র বৈধ এবং ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছেন তাদের চাকরি বহাল থাকবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও ২০১০ সালের আগের ঘোষিত ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিদের শংসাপত্র বৈধ বলেই ঘোষণা করেছিল কোর্ট।
SIR এ গ্রহণযোগ্য নথির মধ্যে রয়েছে জাতিগত শংসাপত্রও। এবার, ২০১০ সালের মার্চ মাসের পর প্রদত্ত OBC শংসাপত্র গ্রহণযোগ্য কি না তা সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন- এমনই নির্দেশ দিয়েছে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে কমিশনকে। স্পষ্ট নির্দেশে জানিয়েছে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের আদালত। ২০১০ সাল থেকে প্রদত্ত ওবিসি শংসাপত্র বৈধ নয় বলে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এরপরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান এক আইনজীবী। সেবিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সে মামলায় এই নির্দেশ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ অনুযায়ী OBC-দের নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। ২০১০ সালের আগে যে যে গোষ্ঠীগুলিকে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলি বৈধ থাকছে।
হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত? এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই সময়ে যে ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে তা পুরোপুরি আইন মেনে বানানো হয়নি। উল্লেখ্য, চাকরির ক্ষেত্রে একটা সংরক্ষণ থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, যাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন এই ওবিসি সার্টিফিকেটের উপর ভিত্তি করে তাঁদের ক্ষেত্রে কি এই নির্দেশ কোনও কাজ করবে? আদালত জানিয়েছে, যাঁরা এই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন বা চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়াতে রয়েছেন তাঁদের জন্য এই নির্দেশের ফলে আলাদা কোনও প্রভাব তৈরি হবে না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন।