• ২০০২-এর নামে সামান্য ভুলে এবার খসড়ায় বাদ! কী হবে তাঁদের? একদিনে ১৫০ হিয়ারিং! নাম তুলতে কী কী নথি সঙ্গে নিয়ে যাবেন?
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অর্কদীপ্ত মুখার্জি: দ্বিতীয় দিনেই কুড়ি লক্ষ নোটিশ ইস্যু করা হল কমিশনের পক্ষ থেকে। ৩২ লক্ষ আনম্যাপড নোটিস জেনারেট করা হয়েছিল। এর মধ্যে কুড়ি লাখ ইস্যু হয়েছে। আনম্যাপড শেষ হলে তারপর দেখা হবে ডিস্ক্রিপেন্সি বা গরমিল। ২৭ তারিখ থেকে শুরু হবে হিয়ারিং। কমিশন সূত্রে খবর, হিয়ারিংয়ে ১৫০ জনকে একদিনে ডাকা হবে। আগে যদিও একদিনে ১০০ জনকে ডাকা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। 

    একদম প্রথমে কথা ছিল প্রত্যেক অফিসার প্রত্যেক দিন ৫০ জন করে হিয়ারিং করবেন। সেটাকে বাড়িয়ে ১০০ করা হয়। এখন সেটাকে বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। ইআরও এবং এইআরও-রা হিয়ারিং করবেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, ২০০২-এর রোলে নামে সামান্য ভুলে আনম্যাপ হয়ে গিয়েছে, সেগুলি ব্যাকএন্ডেই ঠিক করার চেষ্টা চলছে। যেমন ২০০২-এর ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে কারও নামে কুমার আছে, কিন্তু পরে বাদ গিয়েছে। তাই ওটা আনম্যাপড হয়ে গিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে নামগুলি ব্যাকএন্ড থেকেই ঠিক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাহলে তাঁদের আর নোটিস পাঠানো হবে না। তবে কোর্টে কিছু মামলা হলে সেটা সেখানে গিয়েই কিরতে হবে। এর পাশাপাশি, ভার্চুয়াল হিয়ারিং হবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশনের কাছে। 

    হিয়ারিং-এ ডাক পেলে কী কী ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে হবে? ১. ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগের ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসির নথি। স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া সার্টিফিকেট।


    ২. যদি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে চাকরির নথি সঙ্গে রাখতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হয়ে থাকলে পেনশনের নথিও গ্রহণযোগ্য।


    ৩. জন্মের শংসাপত্র।


    ৪. পাসপোর্ট থাকলে তা নিয়ে যেতে পারেন।


    ৫. মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক-সহ শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি নিয়ে যেতে পারেন।


    ৬. রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কোনও সংস্থার তরফে যদি বাড়ি পেয়ে থাকেন, তাহলে বাসস্থানের সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য।


    ৭. সরকারের তরফে দেওয়া জমির শংসাপত্র।


    ৮. স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফ্যামিলি রেজিস্টার।


    ৯. ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট।


    ১০. জাতিগত শংসাপত্র।


    ১১. অসমের নাগরিকদের ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী।

    হিয়ারিং-এ ডাক পেলে এই ১১টি ডকুমেন্টের যে কোনও একটি নিয়ে গেলেই হবে। শুনানিতে তথ্য যাচাইয়ের পরই আপনার নাম উঠবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায়। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)