বাবুল হক, মালদহ: হুমায়ুন কবীরের দলে প্রার্থী হতেই চাকরি গেল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের! রাতারাতি তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরি হারালেও কোনও আফসোস নেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মুজকেরা বিবির। নির্বাচনের লড়াই করা এবং জেতাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলেই জানিয়েছেন। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মালদহে। যদিও পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে কাজে আসতেন না ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই সিভিক রুল অনুযায়ী এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের শুরুতেই নতুন দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’র ঘোষণা করেছেন হুমায়ুন কবীর। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছেন। মালদহের বৈষ্ণবনগর কেন্দ্র থেকে হুমায়ুনের দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’র টিকিটে লড়াই করবেন মুজকেরা বিবি। তাঁর অভিযোগ, নাম ঘোষণার পরেই তাঁকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ মুজকেরা বিবির। জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগর বিননগর -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মুজকেরা বিবি। সক্রিয়ভাবেই তৃণমূল করতেন। এমনকী তাঁর স্বামী কুরবান আনসারী তৃণমূলের স্থানীয় নেতা হিসাবেই পরিচিত।
যদিও দুজনেই তৃণমূল ছেড়ে হুমায়ুনের দলে যোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে মুজকেরা বিবির স্বামী কুরবান আনসারী বলেন, ”২৬ এর নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই হবে। যদিও তৃণমূল তিন নম্বরে থাকবে।” ফলে তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টার হবে না বলেও মন্তব্য কুরবান আনসারীর। যদিও পুরো বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদহে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশীষ কুণ্ডু জানান, ”বদ্ধ উন্মাদের মতো কথা বলছেন হুমায়ুন কবীর। সকালে একটা কথা বলে বিকেলে একটা কথা বলে। প্রতিদিন তার বক্তব্য চেঞ্জ হচ্ছে। তিনি নিজে যখন ভোটে দাঁড়াবেন তখন নোটার থেকেও ভোট কম পাবেন।”
এই অবস্থায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। হুমায়ুন কবীরকে তৃণমূলের একটি পার্ট বলে তোপ দেগেছেন দক্ষিণ মালদা বিজেপির সহ-সভাপতি তারক ঘোষ। তিনি বলেন, ”হুমায়ুন কবিরের দল তৃণমূলেরই একটা পার্ট। আমাদের লক্ষ এই সরকারকে ২০২৬ এর নির্বাচনে বিসর্জন দিতে হবে।” যদিও এত কিছুর মধ্যেও নতুন দলের প্রার্থী মুজকেরা বিবির আশা তিনি জিতবেনই।