• ভোটার লিস্টে নামে কারচুপি, BDO-র কাছে অভিযোগ সাংসদ খগেনের
    আজ তক | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ফোন করলে নাকি ধরেন না, ম্যাসেজ করলে উত্তর দেন না। তাই সোজা জেলা শাসকের ঘরে ঢুকলেন বিজেপি সাংসদ। বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে মালদার জেলা শাসকের দফতরে যান মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও পুরাতন মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। 

    মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও মালদা বিধানসভার বিধায়ক গোপাল সাহা দু'জনেরই অভিযোগ, বারবার জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বেশকিছু BLO যাদের ভোটার লিস্টে নাম নেই তাঁদের নাম তুলেছেন। যাঁদের নাম আছে তাঁদের নাম কেটেছেন। অনুপ্রবেশকারীদের নাম তুলে দেওয়া হতে পারে। তাঁরা সঠিক কাজ করছেন না। 

    সমস্ত ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও জেলা শাসকের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। সংসদ খগেন মুর্মু আরও বলেন, "এই জেলাশাসক আসার পর বিভিন্ন সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি ফোন ধরার মতো ভদ্রতা দেখাননি। আমাদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে SIR নিয়ে। একজন বিডিও যাদের নাম ওঠার কথা না তাঁদের নাম ঢুকিয়েছে আর যাঁদের নাম থাকার কথা তাঁদের নাম কেটেছে। এই নিয়মটা তাঁকে জানাতে এসেছিলাম। বাধ্য হয়ে তাঁর চেম্বারে ঢুকে সমস্ত বিষয়টা তাঁকে জানিয়েছি। সাংসদের আরও অভিযোগ, আমি যখন অসুস্থ ছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দেখতে এসেছিলেন। আর একজন জেলা শাসকের একজন জনপ্রতিনিধির ফোন ধরার মতো মানসিকতা এই জেলাশাসকের নেই।"

    বিজেপি সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ অভিনয় করতে তামাশা করতে ওখানে গিয়েছিলেন বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু। 

    সাংসদ যা বলেছেন সেই বিষয়টা দেখা হবে জানিয়েছেন জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলের। তিনি বলেন, সাংসদ যা বলেছেন সে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে।
  • Link to this news (আজ তক)