• ফের বাংলাকে ‘বঞ্চনা’, বৈঠকের পরেও সাধারণতন্ত্র দিবসে মনীষীদের ট্যাবলোয় নেই ছাড়পত্র
    প্রতিদিন | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও বঞ্চনার শিকার বাংলা। স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকাকে সর্বভারতীয় মঞ্চে তুলে ধরতে বীর বিপ্লবী ও মনীষীদের ছবি দিয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো সাজিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত সেই ভাবনাকে এখনও অনুমোদন দিল না কেন্দ্রের মোদি সরকার। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন যে বিপ্লবীরা, তাঁদের সিংহভাগই ছিলেন বাংলার।

    বাংলার বিপ্লবীদের আত্মবলিদানের কথা দেশের সামনে তুলে ধরতে আগামী ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর থিম করা হয় ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকা’। ৫টি বৈঠকের পরও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ এক্সপার্ট কমিটির সদস্যরা বাংলার ট্যাবলোর থিম অনুমোদন করেননি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বাংলার ট্যাবলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায় এবিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী, মনীষীদের নিয়ে ট্যাবলোর ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার জন্য এত মিটিং করার কী প্রয়োজন? যাঁরা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যাবলো অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই টালবাহানা আসলে ওদের রাজনৈতিক দীনতা এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির পরিচয় বহন করে।

    এবার ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে কেন্দ্রীয় সরকারের থিম হল বন্দেমাতরম এবং ‘সমৃদ্ধি কা মন্ত্র- আত্মনির্ভর ভারত’। বন্দেমাতরম-র উল্লেখ থাকছে রাজ্যের ট্যাবলোর থিমেও। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে-মাতরম কীভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা-সহ গোটা দেশের বিপ্লবীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে, কীভাবে বন্দেমাতরম স্লোগান তুলে হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে গিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, তার উল্লেখ ছিল বাংলার ট্যাবলোতেও। এই ট্যাবলো ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিপ্লবী বিনয়-বাদল-দীনেশ-সহ একঝাঁক মনীষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি দিয়ে। বাজবে দেশাত্মবোধক গান। এই থিমভাবনা জানার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ট্যাবলোকে অনুমোদন দেয়নি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)